ধুলো-বালি, দূষণ আর ঘামের কারণে ত্বকের নানা সমস্যা আমাদের নিত্যসঙ্গী। এর মধ্যে সবচেয়ে বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর সমস্যা হলো ছত্রাক সংক্রমণ বা ‘দাদ’। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘রিং ওয়ার্ম’। শরীরের যেকোনো অংশে গোল চাকার মতো লালচে ছোপ এবং অসহ্য চুলকানি এই রোগের প্রধান লক্ষণ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অতিরিক্ত ঘাম এবং আর্দ্র আবহাওয়া এই ছত্রাকের বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় পরিবারের একজনের হলে অন্যদের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার ত্বকেও কি প্রায়ই দাদ হয়? ওষুধের পাশাপাশি এই ৫টি ঘরোয়া উপায়ে পেতে পারেন দ্রুত মুক্তি:
-
সাবান-জল ও পরিচ্ছন্নতা: যে জায়গায় দাদ হয়েছে, সেটি সবসময় পরিষ্কার রাখা জরুরি। সংক্রমণের বিস্তার রুখতে প্রতিদিন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ও জল দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে আলতো করে মুছে শুকিয়ে নিন।
-
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। একটি তুলোর বলে ভিনেগার ভিজিয়ে সংক্রমিত স্থানে দিনে তিনবার লাগান। এতে ছত্রাক দ্রুত মরে যায়।
-
টি-ট্রি অয়েল ও নারকেল তেল: টি-ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে দারুণ কার্যকর। সংবেদনশীল ত্বক হলে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। আবার শুধু নারকেল তেল হালকা গরম করে লাগালেও দাদের চুলকানি ও জ্বালা কমে।
-
হলুদের পেস্ট: হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। কাঁচা হলুদ বাটা বা গুঁড়ো হলুদের পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। এটি সংক্রমণের বৃদ্ধি রুখে দেয়।
-
অ্যালোভেরা জেল: দাদের কারণে হওয়া অসহ্য চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে অ্যালোভেরা জেলের জুড়ি নেই। সরাসরি গাছ থেকে জেল নিয়ে দিনে তিনবার লাগালে ত্বক ঠান্ডা হয় এবং দ্রুত নিরাময় ঘটে।