দিল্লির রাজা বিহার এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ধৃতদের নাম ঋষভ ও নরোত্তম। ঋষভ একটি নামী ব্যাঙ্কে কাজ করে এবং নরোত্তম ওই এলাকায় সেলুন চালায়। গত ২০ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা তেরো বছরের ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয় এবং অচৈতন্য অবস্থায় ধর্ষণ করা হয়। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো (POCSO) আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ অভিযুক্তদের শ্রীঘরে পাঠিয়েছে।
উদয়পুরের চাঞ্চল্যকর ঘটনা: রাজস্থানের উদয়পুরেও ২০ ডিসেম্বর রাতে একই ধরনের নৃশংসতা ঘটেছে। একটি জন্মদিনের পার্টি শেষে মাদক মেশানো সিগারেট খাইয়ে অচৈতন্য করে এক মহিলা আইটি ম্যানেজারকে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, পার্টিতে শরীর খারাপ লাগায় ওই সংস্থারই এক মহিলা আধিকারিক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। গাড়িতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন ওই সংস্থার সিইও এবং মহিলা আধিকারিকের স্বামী। মাঝরাস্তায় তাঁকে মাদক খাইয়ে যৌন নির্যাতন করা হয়।
পুলিশি পদক্ষেপ: উদয়পুর পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই আইটি সংস্থার সিইও, এক মহিলা আধিকারিক ও তাঁর স্বামীকে আটক করেছে। উদয়পুরের পুলিশ সুপার যোগেশ গোয়েল জানিয়েছেন, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই রাজ্যেই মহিলাদের উপর এই ধারাবাহিক আক্রমণে জনমানসে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।