ইউপি-তে ফের এনকাউন্টার! ১ লক্ষী গ্যাংস্টার সিরাজ খতম হতেই জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়, ঘনাচ্ছে রহস্য!

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) আবারও বড়সড় সাফল্য পেল। পুলিশের গুলিতে খতম হয়েছে সুলতানপুরের কুখ্যাত গ্যাংস্টার সিরাজ আহমদ। যার মাথার দাম ছিল ১ লক্ষ টাকা এবং যার নামে হত্যা ও অপহরণের ৩০টিরও বেশি মামলা ঝুলছিল। গত ২১ ডিসেম্বর ভোরে সাহারানপুরের গাঙ্গোহ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় সিরাজের। তবে এই এনকাউন্টারের চেয়েও বেশি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সিরাজের শেষকৃত্য বা জানাজাকে কেন্দ্র করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ সাহারানপুরে ঘেরাও করে সিরাজকে। পালানোর চেষ্টা করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। পাল্টা জবাবে সিরাজ গুরুতর আহত হয় এবং হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সিরাজের অপরাধের খতিয়ান দীর্ঘ। সুলতানপুরের লোলপুর গ্রামের এই ৩৬ বছরের যুবক হত্যা, খুনের চেষ্টা এবং গ্যাংস্টার অ্যাক্টের মতো মারাত্মক অপরাধের সাথে যুক্ত ছিল। বিশেষ করে ২০২৩ সালে আইনজীবী আজাদ আহমদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে ফেরার ছিল। অভিযোগ ছিল, সে একসময় মাফিয়া ডন মুক্তার আনসারির গ্যাংয়ের হয়েও কাজ করত।

কিন্তু বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায় সিরাজের জানাজার সময়। সুলতানপুরে তার শেষযাত্রায় কার্যত মানুষের ঢল নামে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ সিরাজের জানাজায় শামিল হন। একজন চিহ্নিত অপরাধী এবং খুনের আসামির শেষ বিদায়ে কেন এত ভিড়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে।

যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ফলে উত্তরপ্রদেশে অপরাধীদের দাপট কমলেও, সিরাজের জানাজার এই জমায়েত সমাজের একাংশের সহানুভূতি নাকি ভয়ের প্রতিফলন, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) অমিতাভ যশ জানিয়েছেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান জারি থাকবে, তবে সমাজ থেকে অপরাধীদের প্রতি সমর্থন নির্মূল করা এখন প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy