২০২৫ সালের শেষলগ্নে এসে সোনা এবং রুপোর দাম যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বিনিয়োগকারীদের। বিশেষ করে রুপোর রিটার্ন শেয়ার বাজারের লার্জ-ক্যাপ সূচকগুলিকেও অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে। মাল্টি-কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) সোনার দাম ১০ গ্রাম প্রতি ১,৩৮,৩৮১ টাকায় পৌঁছেছে, আর রুপোর দাম কেজি প্রতি ২,১৬,৫৯৬ টাকার রেকর্ড স্তর ছুঁয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ সালে রুপো ১৪১ শতাংশেরও বেশি লাভ দিয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে রুপোর চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেলেও বিশ্ববাজারে সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। ভারত রুপোর অন্যতম বড় উপভোক্তা হওয়ায় বিশ্ববাজারের এই দাম বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, চলতি বছরের শেষেই রুপোর দাম কেজি প্রতি ২.২৫ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (IBJA) মতে, রুপোর এই স্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন। মার্কিন সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির সোনা-রুপো কেনার প্রবণতা এই দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। বিশ্লেষকদের ভবিষ্যৎবাণী, ২০২৬ সাল রুপোর জন্য আরও বড় রেকর্ড গড়ার বছর হতে চলেছে।