উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের যাবজ্জীবন কারাবাসের ওপর শর্তসাপেক্ষ স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত থেকে দিল্লি গেটের সামনে অবস্থানে বসেন নির্যাতিতা, তাঁর মা এবং সমাজকর্মী যোগিতা ভায়ানা। কিন্তু মাঝরাতে দিল্লি পুলিশ তাঁদের জোরপূর্বক টেনে-হিঁচড়ে ধর্নাস্থল থেকে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আদালতের রায়ে ভেঙে পড়া নির্যাতিতা কান্নায় ভেঙে পড়ে সংবাদ সংস্থা ANI-কে জানান, “এই রায় শুনে আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছিল। আমরা কীভাবে নিরাপদ থাকব? ২০২৭-এর নির্বাচনের আগে ওকে ছাড়া হয়েছে যাতে ওর স্ত্রী ভোটে লড়তে পারে।” নির্যাতিতার দাবি, ধর্ষক কুলদীপ বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁদের পরিবারের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। জামিনের নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৯ সালে কুলদীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যদিও আদালত কিছু শর্ত দিয়েছে—যেমন নির্যাতিতার বাড়ির ৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কুলদীপ ঢুকতে পারবেন না এবং পরিবারকে হুমকি দেওয়া যাবে না। তবে চারবারের প্রাক্তন বিধায়কের এই মুক্তি বিচারব্যবস্থা ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।