বাংলাদেশ কি এখন বিদেশি শক্তির খেলার মাঠ? গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা-সহ ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে যে চরম অরাজকতা ও হিন্দু নিধনের ঘটনা ঘটছে, তার নেপথ্যে রয়েছে এক গভীর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘আজতক’-এর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারিগর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI এবং জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা।
হাফিজ সঈদের ‘মিশন বাংলাদেশ’: ফাঁস হওয়া তথ্য
সূত্র মারফত পাওয়া একটি ৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওর ভিত্তিতে দাবি করা হয়েছে, লস্কর প্রধান হাফিজ সঈদ এবং ISI কর্তাদের মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে একটি ‘নতুন ফ্রন্ট’ খোলার বিষয়ে গোপন কথোপকথন হয়েছে।
-
ষড়যন্ত্রের ছক: লস্করের পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতের পূর্ব সীমান্তে হামলা চালানো।
-
কৌশল: জিহাদের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় যুবকদের উসকে দেওয়া এবং তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা।
“আমরা বাংলাদেশে সক্রিয়”, লস্কর কমান্ডারের স্বীকারোক্তি
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খাইরপুর তামিওয়ালিতে একটি জনসভায় লস্কর কমান্ডার সাইফুল্লা সাইফ সরাসরি হুঙ্কার দিয়েছিল। সে বলেছিল:
“হাফিজ সঈদ বসে নেই। আমাদের লোকেরা পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা বাংলাদেশ হয়েই ভারতকে কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ওই জনসভায় ছোট শিশুদের উপস্থিতিতে এই বিষোদগার করা হচ্ছিল, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে লস্কর এখন শিশুদের মগজধোলাই করার মাধ্যমে নতুন জঙ্গি বাহিনী তৈরির চেষ্টা করছে।
** তলানিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক**
ছায়ানটে ভাঙচুর, সংবাদমাধ্যমের অফিসে অগ্নিসংযোগ এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ও ঢাকার কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন ইতিহাসের কঠিনতম সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান ভারতের পূর্ব সীমান্তকে রণক্ষেত্র বানাতে চাইছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।