মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় হুমায়ুন কবীরের ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যখন রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে, ঠিক তখনই সম্প্রীতির এক অনন্য বার্তা দিলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। নিজের বিধানসভা এলাকায় একটি সুদৃশ্য কৃষ্ণ মন্দির এবং একটি ‘মহম্মদী মসজিদ’ তৈরির ঘোষণা করেছেন তিনি। এই দুই ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি টাকা দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিধায়ক।
শনিবার সুতির বংশবাটি গ্রামে এক জনসভায় জাকির হোসেন জানান, তিনি ধর্মের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যাতে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেজন্য নির্বাচনের পরেই মন্দিরের ও মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, “মানুষে-মানুষে ভালোবাসা বাড়াতে এই উদ্যোগ। দরকার হলে নিজের জমি বিক্রি করে এই ১ কোটি টাকা আমি দেব।” মন্দিরের জন্য শ্রীকৃষ্ণ ট্রাস্ট এবং মসজিদের জন্য পৃথক একটি ট্রাস্ট গঠন করার কাজ দ্রুত শুরু হবে।
বিধায়ক রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, মসজিদের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তি এবং মন্দিরের জন্য খাস জমি বরাদ্দ করার। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও জমি দান গ্রহণ করা হবে। জাকিরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষ। তাঁদের মতে, এই মন্দির ও মসজিদ নির্মিত হলে মুর্শিদাবাদের পর্যটন মানচিত্রে নতুন পালক যুক্ত হবে এবং দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের এক শক্তিশালী বার্তা যাবে।