জমি নিয়ে দুই আত্মীয় পরিবারের দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে রায় ঘোষণা করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। ২০১৪ সালে ধূপগুড়ির শালবাড়িতে গোবিন্দ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করার মামলায় আদালত ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
মামলা ও সাজার বিবরণ:
-
ঘটনার সময়কাল: ২০১৪ সালে ধূপগুড়ির শালবাড়িতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।
-
মামলা: ঘটনায় মোট ৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় (কেস নম্বর: ২০২২ সালের ২৯৬)।
-
বিচার প্রক্রিয়া: দীর্ঘ তিন বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে এই মামলা চলে।
-
সাজাপ্রাপ্ত: মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের থার্ড কোর্টের অ্যাডিশনাল সেশন জাজ বিপ্লব রায় ৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে ১০ বছর জেলের নির্দেশ দেন। বাকি ৪ জন আসামিকে এই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
-
সাক্ষ্য: মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
ঠিক কী ঘটেছিল?
সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর প্রসেনজিৎ দেব জানান, ২০১৪ সালে শালবাড়ির বাসিন্দা গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে তাঁর আত্মীয় পরিবারের লোকেরা বাঁশের লাঠি এবং কোদাল নিয়ে ঢুকে আক্রমণ করে।
আসামিরা প্রথমে গোবিন্দর স্ত্রী সন্ধ্যারানি ও তাঁদের ৪ ছেলেকে আক্রমণ করে। গোবিন্দ মণ্ডল বাড়িতে ঢুকলে বাঁশ দিয়ে তাঁর মাথায় মারা হয় এবং তাঁকে কোপান হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। গোবিন্দ মণ্ডল হত্যা মামলায় ৫ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হওয়ায় আদালত চত্বরে উত্তেজনা তৈরি হয়।