নমস্কার। আপনার দেওয়া তথ্যটি এবং অন্যান্য লাইভ আপডেটগুলি মিলিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের একটি সমন্বিত প্রতিবেদন নিচে দেওয়া হলো।
নজরকাড়া শিরোনাম (Bengali):
-
🔥 ঐতিহাসিক অভ্যর্থনা: ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবার ভারতে পুতিন, বিমানবন্দরে রিসিভ করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি!
-
🤯 Modi-Putin দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে S-400 ডেলিভারি, S-500 মিসাইল চুক্তি এবং ১ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য এজেন্ডায়!
-
🚀 ‘স্থিতিশীলতার ফ্যাক্টর’: রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বার্তা—ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
🔹 Bengali Version: পুতিনের ভারত সফর শুরু, বিমানবন্দরে মোদির অভ্যর্থনা
নয়াদিল্লি: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে অবতরণ করেছেন। ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম ভারত সফর। প্রোটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং পালাম বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান, যা দুই দেশের মধ্যেকার “বিশেষ ও সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব”-এর গভীরতাকেই প্রতিফলিত করে।
এই সফর ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মুহূর্ত, যেখানে বৈশ্বিক আলোচনার মধ্যে মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ককে ভারত ভারসাম্য রক্ষা করছে।
৪ ডিসেম্বর: ব্যক্তিগত নৈশভোজ দিয়ে শুরু
রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁর সফরের প্রথম সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন, লোক কল্যাণ মার্গে ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং একান্ত বৈঠকে মিলিত হবেন। এই বৈঠকটি শুক্রবারের মূল আলোচনার জন্য ভিত্তি তৈরি করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণাঙ্গ দিক পর্যালোচনা করবে।
রুশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রে বেলোউসভ, যিনি সকালে এসে জানিয়েছেন যে, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক কৌশলগত প্রকৃতির এবং এই অংশীদারিত্ব দক্ষিণ এশিয়া ও বৃহত্তর বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থিতিশীলতার ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। পুতিনের সঙ্গে এসেছেন একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও।
৫ ডিসেম্বর: মূল আলোচনার দিন
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) হবে মূল শীর্ষ সম্মেলনের দিন। আলোচনায় যে ক্ষেত্রগুলি প্রাধান্য পাবে:
১. প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা 🛡️
-
S-400 ডেলিভারি: ভারত অবশিষ্ট S-400 মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য চাপ দেবে।
-
S-500 ও যৌথ গবেষণা: পরবর্তী প্রজন্মের S-500 প্রোমেথিউস মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। S-500 হাইপারসোনিক হুমকি এবং নিম্ন-কক্ষপথের উপগ্রহ পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।
-
সামরিক চুক্তি: সম্প্রতি রুশ পার্লামেন্টে দুই দেশের মধ্যে Reciprocal Exchange of Logistic Support (RELOS) চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে, যা যৌথ মহড়া এবং বন্দর পরিদর্শনের ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।
২. জ্বালানি, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক রোডম্যাপ ⛽
-
$১০০ বিলিয়ন লক্ষ্য: উভয় দেশই ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্যে পৌঁছতে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক রোডম্যাপ (Programme for the Development of Strategic Areas of Russian-Indian Economic Cooperation until 2030) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা।
-
বাণিজ্যের ভারসাম্য: ভারত থেকে অটোমোবাইল, ইলেক্ট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি পণ্যের আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে রাশিয়া সম্মত হয়েছে।
-
অন্যান্য ক্ষেত্র: দীর্ঘমেয়াদী তেল চুক্তি, পারমাণবিক সহযোগিতা (ছোট মডুলার চুল্লি বা SMRs সহ), শিপিং, স্বাস্থ্যসেবা এবং সার খাতে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৩. কৌশলগত ও মানবসম্পদ সহযোগিতা 🌐
-
শ্রম গতিশীলতা চুক্তি: ভারতীয় দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মীদের জন্য রাশিয়ার নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা ও আতিথেয়তা শিল্পে কাজের সুযোগ বাড়াতে শ্রম গতিশীলতা চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে।
-
গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি: সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার পাশাপাশি ভারতে রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় মিডিয়া চ্যানেল আরটি টিভির (RT TV) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুতিন অংশ নিতে পারেন।
এই সফরের মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়া বৈশ্বিক চাপ অগ্রাহ্য করে তাদের কৌশলগত সম্পর্কের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে চাইছে।