দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে নিজের অবস্থান অনেকটাই পোক্ত করে ফেলেছেন ভারতীয় ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রায়পুরে মাত্র ৭৭ বলে তাঁর বিস্ফোরক শতরানটি শুধু রেকর্ডই গড়েনি, বরং ঋষভ পন্ত ও শ্রেয়স আইয়ারের মতো প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়দের ভারতীয় একাদশে ফেরাটাকেও কিছুটা কঠিন করে তুলেছে।
কোচ গৌতম গম্ভীরের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট যে, গায়কোয়াড়ের এই ইনিংস টিম ম্যানেজমেন্টকে বড় বার্তা দিয়েছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এখনও ইউসুফ পাঠানের (৬৮ বলে সেঞ্চুরি, ২০১১) দখলে।
সেঞ্চুরির পরেও ভারতের হার কেন?
রায়পুরের একদিনের ম্যাচে বিরাট কোহলির (১০২) শতরান এবং রুতুরাজের (১০৫) সৌজন্যে ভারত ৩৫৮/৫ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে। কোহলি ও রুতুরাজ ১৯৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু এরপরও ভারতীয় বোলাররা ব্যর্থ হন। এইডেন মার্করামের (১০২) সেঞ্চুরি এবং ম্যাথু ব্রিটজকে (৬৮), ডিওয়াল্ড রুইস (৫৪) ও টেম্বা বাভুমার (৪৮) অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়।
ফলে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচটি ৬ ডিসেম্বর বিশাখাপত্তনমে অনুষ্ঠিত হবে।
পন্ত এবং শ্রেয়সের উপর বাড়তি চাপ
রুতুরাজ গায়কোয়াড় যখন দুই বছর পর ভারতীয় দলে ফিরে রাঁচির প্রথম ম্যাচে মাত্র ৮ রান করেছিলেন, তখন তাঁর পজিশন নিয়ে কিছুটা সন্দেহ ছিল। কিন্তু রায়পুরে ৮৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলার পর মিডল অর্ডারের সমীকরণ পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে।
-
শ্রেয়স আইয়ার: দীর্ঘদিন ধরে শ্রেয়স ভারতের হয়ে চার নম্বর পজিশনে সফলভাবে খেলছেন।
-
ঋষভ পন্ত: পন্তও এই পজিশনের অন্যতম বড় দাবিদার ছিলেন, কিন্তু রায়পুরের পরাজয় তাঁর জন্য পরিস্থিতি কঠিন করেছে। যদি ভারত রায়পুরে জিতত, তবে পন্ত সুযোগ পেতে পারতেন।
-
নির্ণায়ক ম্যাচের সমীকরণ: বিশাখাপত্তনমে গায়কোয়াড়ের খেলা এখন প্রায় নিশ্চিত। যদি তিনি সেখানেও দুর্দান্ত খেলেন, তবে তা শ্রেয়সের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ভারতের ৪ নম্বর পজিশনে সেরা পারফরম্যান্স (১ জানুয়ারী ২০২৪ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০২৫):
| ব্যাটসম্যান | ম্যাচ (ইনিংস) | রান | গড় | স্ট্রাইক রেট |
| শ্রেয়স আইয়ার | ১১ (১০) | ৪৯৬ | ৪৯.৬০ | ৮৯.৫৩ |
| রুতুরাজ গায়কোয়াড় | ২ | ১১৩ | — | — |
সংখ্যায় শ্রেয়স এগিয়ে থাকলেও, রুতুরাজের সাম্প্রতিক বিস্ফোরক ফর্ম টিম ম্যানেজমেন্টকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে।