দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে শুধু পর্যটকদের ভিড়ই বাড়েনি, দিঘা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের ছবিও বদলাতে শুরু করেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বহু শিল্পী ভিনরাজ্য থেকে এসে দিঘায় নতুন আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাজস্থানের শিল্পী সোহনলাল রাঠোর।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার কুদিতে দিঘা-এগরা রাস্তার ধারে বসেই সোহনলাল প্রতিদিন রাধা-কৃষ্ণ, জগন্নাথ দেব, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী সহ নানা দেবদেবীর মনকাড়া মূর্তি তৈরি করছেন ও বিক্রি করছেন। তাঁর হাতের তৈরি মূর্তির সূক্ষ্ম কারুকাজ ও উজ্জ্বল রং সহজেই শিল্পপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে।
মন্দিরকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বৃদ্ধি:
সোহনলাল জানান, তাঁর সঙ্গে আরও ১০-১২ জন শিল্পীর একটি দল রয়েছে, যারা রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম দিঘার পর্যটকদের সামনে তুলে ধরছেন। সোহনলালের কথায়, “দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই আমাদের মূর্তি বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে। আগে এমন ভিড় হত না। এখন প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে, দেখে, পছন্দ করে, কেনে।”
পর্যটকরা দিঘা ঘুরে ফেরার পথে তাঁর পসরা দেখে থমকে যান। ছবি তোলার পাশাপাশি অনেকেই নিজের পছন্দের মূর্তি কিনে নেন। তাঁর দোকানে মাত্র ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের চোখ ধাঁধানো মূর্তি পাওয়া যায়। মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিনরাজ্যের শিল্পীদেরও জীবনযাত্রার এক নতুন পথ খুলে দিয়েছে।