উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিশাল অভিযান শুরু হয়েছে। এই অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিত করে নির্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে যোগী সরকার ১৭টি পৌর সংস্থায় কর্মরত অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি এবং প্রতিটি বিভাগে ডিটেনশন সেন্টার (Detention Center) স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে— অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ‘লাল গালিচা বিছিয়ে দেওয়া যাবে না’।
যোগী সরকারের অ্যাকশন প্ল্যান:
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ অনুসারে:
১৭টি পৌর সংস্থায় কর্মরত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত তালিকা তৈরি করতে হবে।
তালিকাটি কমিশনার এবং পুলিশের আইজি-র কাছে জমা দেওয়া হবে।
প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। এই সেন্টারগুলিতে নির্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের রাখা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কঠোর নির্দেশের পর প্রশাসনিক আমলারা তৎপর হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি লখনউয়ের বস্তিগুলোতে অভিযান শুরু করে দিয়েছে। আধার ও ভোটার আইডি-র মতো পরিচয়পত্র যাচাই করে প্রতিটি নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের কঠোর বার্তা:
গতকাল, ৫ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীর হেবিয়াস কর্পাস আবেদনের শুনানি চলার সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত কঠোর মন্তব্য করেছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভারতের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই যে তাদের এখানে থাকতে দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের পরে একজন ব্যক্তি কি ভারতের সমস্ত অধিকারের অধিকারী হন? যদিও আবেদনকারীর আইনজীবী ‘যথাযথ প্রক্রিয়া’ মেনে তদন্তের পরে লিখিত নির্বাসন আদেশ দাবি করেছেন, কিন্তু আদালত এই বিষয়ে জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রেখেছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই কঠোর অবস্থান যোগী সরকারের অনুপ্রবেশকারী বিরোধী অভিযানকে নৈতিক সমর্থন জোগাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।