শীতে অনেকেই ত্বকে ব্যবহার করেন পেট্রোলিয়াম জেলি। শোভন মেকওভারের রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা বলেছেন ত্বক রক্ষায় পেট্রোলিয়াম জেলি কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে।
ত্বক রক্ষায় পেট্রোলিয়াম জেলি
আগে প্রসাধনীর সহজলভ্যতা থাকলেও ত্বক পরিচর্যায় পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার তখন থেকেই ছিল। এর মধ্যে পমেড আর ভ্যাসেলিনের কথা সবারই জানা। পেট্রোলিয়াম থেকে উপজাত পণ্য হিসেবে পেট্রোলিয়াম জেলি হয় বলে অনেকেই এর ব্যবহার নিয়ে শঙ্কায় থাকেন। তবে শোভন মেকওভারের রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম জেলি পরিশোধিত এবং নিরাপদ, বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য।
এটা ত্বকে বাইরের বাতাস ঢুকতে বাধা দেয়। ফলে ত্বক আর্দ্রতা হারায় না। শুষ্কতার সমস্যা কমে। পেট্রোলিয়াম জেলি ঘন। ত্বকে প্রলেপের মতো কাজ করে। সারা শরীরে নয়; বরং যেসব স্থান বেশি শুষ্ক যেমন-ঠোঁট, কনুই, হাঁটুসহ বিভিন্ন স্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা উচিত। ’
ক্ষত সারাতে
শুষ্ক গোড়ালি, ফাটা বা চামড়া ওঠা আঙুলে ও ফাটা ঠোঁটে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা ভালো। এতে ব্যথাভাব কমার পাশাপাশি আর্দ্রতা বজায় থাকে। এটা ত্বকে অ্যালার্জি ছাড়াই প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে।
দাগ কমাতে শুষ্ক ত্বকে কাজ করে
শুষ্ক ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি ‘স্পট ট্রিটমেন্ট’ হিসেবে কাজ করে, যা দাগ কমাতে কাজ করে। কনুই, হাঁটুসহ অন্য শুষ্ক অংশে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার শুষ্কতা কমানোর পাশাপাশি দাগও কমিয়ে দেয়।
পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার
শুষ্ক ত্বকের স্বাভাবিকভাবে মাখা ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। যদি একজিমা থাকে, তাহলে ত্বক মসৃণ ও আর্দ্র রাখে এমন উপাদান ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়ামসমৃদ্ধ উপাদান ক্ষত সারাতে, শুষ্কতা ও একজিমার সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা যায়।
ত্বকে ব্রণ ওঠার সমস্যা না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
চামড়া ওঠার সমস্যা
পেট্রোলিয়াম জেলি চামড়া ওঠার সমস্যা বন্ধ করে। কারণ এটা ত্বকে সুরক্ষার স্তর দেয়। তবে চামড়া ওঠার সমস্যায় এমন পণ্য ব্যবহার করতে হয়, যা ত্বকের ভেতর ঢুকে পুনর্গঠনে সহায়তা করে। ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সেরে ওঠার ক্ষেত্রে ওপরে সুরক্ষার স্তর হিসেবে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।