ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনও উত্তপ্ত হয়ে উঠল। মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধীদের তীব্র হট্টগোলে সংসদের নিম্নকক্ষ দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। বিরোধীরা কেন্দ্র সরকারের কাছে এসআইআর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছে।
সংসদ চত্বরে গান্ধী পরিবারের বিক্ষোভ:
অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই মঙ্গলবার সংসদ চত্বর উত্তপ্ত ছিল। মকরদ্বারের সামনে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই প্রতিবাদে অংশ নেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধি, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি এবং টিআর বালু-সহ বিরোধী সাংসদরা।
তাঁরা পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল: ‘এসআইআর বন্ধ করুন, ভোট চুরি বন্ধ করুন’।
অধিবেশনে উত্তাপ ও মুলতুবি:
সকাল ১১টা থেকে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর স্পিকার ওম বিড়লা জর্জিয়া থেকে আসা একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। মাত্র ১০ মিনিট ধরে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার পর জিরো আওয়ারের সময় অধ্যক্ষের কাছে একাধিক নথি জমা পড়ে।
কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হতেই কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি এসআইআর নিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান চলতে থাকায় অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কটাক্ষ:
এ পরিস্থিতিতে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বিরোধীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বাকি দলগুলির সাংসদদের আলোচনা শোনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং কয়েকটি দলের প্রতিবাদে অধিবেশন বিঘ্নিত হওয়া উচিত নয়। তিনি সদ্যসমাপ্ত বিহারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জোটের হারের প্রসঙ্গে নাম না-করে কটাক্ষ করে বলেন, “ভোটে হেরে যাওয়ার ক্ষোভ অধিবেশনের মধ্যে দেখানোও ঠিক নয়।”
হট্টগোল না থামায় শেষ পর্যন্ত স্পিকার ওম বিড়লা দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনও SIR বিতর্কে লোকসভা একাধিকবার মুলতুবি হয়েছিল।