মর্নিং শোজ দ্য ডে’। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণাত্মক মন্তব্যের পর, সংসদের ভিতরেও সেই একইরকম ঝাঁঝ দেখা গেল। উপরাষ্ট্রপতি পদ এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে জগদীপ ধনকড়ের আচমকা ইস্তফা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো সংসদ।
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে নতুন চেয়ারম্যান সি পি রাধাকৃষ্ণনকে স্বাগত জানানোর সময়ই ধনকড়ের অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরেন। খাড়গে বলেন:
“আমি আশা করি আপনি কিছু মনে করবেন না যে আমি আপনার পূর্বসূরীর রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং আকস্মিক পদত্যাগের কথা উল্লেখ করতে বাধ্য হচ্ছি। আমি হতাশ হয়েছিলাম যে হাউস তাঁকে বিদায় জানানোর সুযোগ পায়নি। যাই হোক, সমগ্র বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তাঁর সুস্থ জীবন কামনা করছি।”
‘উভয় পক্ষের ভারসাম্য বজায় রাখুন’:
খাড়গে নতুন চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, চেয়ারম্যান সমগ্র কক্ষের রক্ষক—সরকারের মতোই বিরোধী দলেরও। এই প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন:
“আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে আপনি ওই দিকে (ট্রেজারি) খুব বেশি তাকাবেন না, কারণ এটা বিপজ্জনক। কিন্তু এই দিকে (বিরোধী দলের) না দেখাও বিপজ্জনক। অতএব, উভয় পক্ষের ভারসাম্য বজায় রাখাই ভাল।”
তিনি মোদীর আক্রমণের জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাংবাদাকি সম্মেলনে পরোক্ষভাবে আমাদের আক্রমণ করেছেন এবং আমরা এখানে উপযুক্ত জবাব দেব। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনি নিরপেক্ষ থাকবেন এবং বিরোধী ও ট্রেজারি বেঞ্চের সঙ্গে একই রকম আচরণ করবেন।”
খাড়গেকে পাল্টা রিজিজু:
খাড়গের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন:
“আমি কেবল সংসদকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে আপনি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে অপমান করার জন্য যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সম্পর্কে আপনি যে অভদ্র শব্দ ব্যবহার করেছিলেন তা ভুলে গেছেন। আপনি যে অপসারণ প্রস্তাবটি দাখিল করেছেন, যার একটি কপি এখনও আমাদের কাছে আছে… একবার ভাবুন আপনি চেয়ারের মর্যাদা কতটা কলঙ্কিত করেছেন।”
উল্লেখ্য, জগদীপ ধনকড়ের পদত্যাগের প্রায় দেড় মাসের মাথায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণন নতুন উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন।