থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কয়েকদিন ধরে চলা অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এই অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে, যার জেরে কয়েক লক্ষ বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। জলের তোড়ে বসতভিটে, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
থাই সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত বার্তা সংস্থা এএফপিকে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
বিপর্যয়ের মাত্রা
-
ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল: দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে এই বিপর্যয় আঘাত হেনেছে।
-
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ: ১২ লক্ষেরও বেশি পরিবার এবং ৩৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শতাধিক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
-
বৃষ্টিপাত: টানা ভারী বর্ষণে কিছু অঞ্চলে ৩০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, বিশেষ করে মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে হাত ইয়াই জেলায়।
জল কমতে শুরু করার পর সোংখলায় হঠাৎ করেই প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে গেছে। উদ্ধারকারী দলগুলি হাত ইয়াই-সহ এমন আবাসিক এলাকাগুলিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে, যেখানে কয়েকদিন ধরে পৌঁছানো যাচ্ছিল না। সেখান থেকে বেশ কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সমালোচনা ও ক্ষোভ
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, সরকার তরফে দেওয়া ১৪৫ জনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকৃত সংখ্যার দ্বিগুণ হতে পারে। উদ্ধারকার্যে ধীর গতির কারণে দেশটির সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। সরকার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্যার কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে; ভেঙে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, এবং কর্দমাক্ত ধ্বংসাবশেষের স্তূপ সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।