ক্যালেন্ডারের পাতায় শীতকাল আসতেই বাঙালি মন মেতে ওঠে পিকনিকের আমেজে। আর শীতের দিনে নদীর বালুচরে মিষ্টি রোদ মেখে পিকনিক করা বাঙালিদের এক চিরায়ত অভ্যাস। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন শহর তমলুক সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদের তীর প্রতি বছর শনি-রবিবার ও ছুটির দিনগুলিতে জনসমাগমে ভরে ওঠে। এবার এই পিকনিকের মরশুম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার পাশাপাশি পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল তাম্রলিপ্ত পৌরসভা।
পৌর প্রশাসনের এই তৎপরতার ফলে এবার রূপনারায়ণের তীরে পিকনিকের মজা হবে বহুগুণ।
পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষার উপর জোর:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নদনদী ও সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় বিভিন্ন পিকনিক স্পটে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। তমলুক শহরের রূপনারায়ণ নদের তীরে প্রতি বছর শীতকালে প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে আসেন। পিকনিক করতে আসা মানুষজনদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দিয়েছে পৌর প্রশাসন।
তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান চঞ্চল কুমার খাঁড়া জানান, পিকনিক করতে আসা মানুষজনদের সুবিধার্থে পৌরসভা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
পানীয় জলের ব্যবস্থা: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের সরবরাহ।
শৌচাগার: পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা।
বৈদ্যুতিক আলো: রাতের দিকে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা।
হেল্প ডেক্স: পর্যটকদের সহায়তার জন্য খোলা হয়েছে হেল্প ডেক্স।
নোংরা করলে কড়া নিষেধাজ্ঞা:
পৌরসভা থেকে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে যত্রতত্র খাবারের প্লেট ও নোংরা আবর্জনা ফেলার বিষয়ে। এলাকা পরিষ্কার রাখতে মোতায়েন থাকছে ডাস্টবিন এবং পৌরসভার সাফাই কর্মীরা। পাশাপাশি, পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে পৌরসভার কর্মীরা পিকনিক স্পটগুলিতে নিয়মিত মনিটরিং করবে বলে জানা গিয়েছে।
সব মিলিয়ে, নদী পাড়ে এসে সাধারণ মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে পিকনিক করতে পারে এবং পিকনিকের আনন্দে যেন পরিবেশ দূষিত না হয়, তার জন্য একযোগে কাজ করছে পৌর প্রশাসন।