কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)-এর এই যুগে শিক্ষার পাঠ্যক্রম কীভাবে পরিবর্তিত হবে, সেই নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে ভারতের ভূমিকা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় অনুষ্ঠিত ‘এআই যুগে পাঠক্রমের রূপান্তর’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক উচ্চপর্যায়ের আলোচনাসভায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
অর্গানাইজেশন অফ ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (OECD) এবং স্লোভাকিয়া সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই ‘গ্লোবাল ফোরাম ফিউচার অব এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস 2040’-এর প্লেনারি ওয়েলকাম সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিশ্বের মোট ৩৮টি দেশের শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাবিদরা অংশ নেন। এই মঞ্চে ভারতের শিক্ষাপদ্ধতির লক্ষ্য, বিশেষত AI-এর ব্যবহার নিয়ে দেশের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক মহলে পেশ করেন সুকান্ত মজুমদার।
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই AI: জোর দিলেন সুকান্ত আলোচনাসভায় সুকান্ত মজুমদার দৃঢ়ভাবে জানান যে, ভারত স্কুল শিক্ষা স্তর থেকেই AI পাঠ্যক্রম চালু করার দিকে জোর দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পঠনপাঠন করানো উচিত।” তিনি এও উল্লেখ করেন যে, ভারতের নীতি আয়োগ (NITI Aayog) স্কুল শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষায় AI-কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতের জাতীয় শিক্ষাপদ্ধতির লক্ষ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, এর মূল উদ্দেশ্য হল ছাত্রছাত্রীদের বিকাশ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা এবং তাদের বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। তিনি ভারতকে বহুভাষিক শিক্ষা এবং প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ হিসেবে তুলে ধরেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন: ভারতে বহুভাষিক ও সহজলভ্য শিক্ষা, শিক্ষাকে আধুনিক করতে প্রযুক্তিগত স্মার্ট সরঞ্জামের ব্যবহার, উচ্চশিক্ষায় আরও উন্নয়ন, এবং ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার্থীকে দক্ষ করে তোলা। পাশাপাশি, তিনি নিশ্চিত করেন যে, শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশ্বজুড়ে ব্যাপ্তির জন্য ভারত সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।