SIR-এর বিরোধিতায় দিল্লি চলো, ভোটাধিকার রক্ষায় ডিসেম্বরে রাজধানীতে বৃহৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি মতুয়া সমাজের

ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া (SIR) এবং তালিকা থেকে নাম বাদের আশঙ্কায় নিজেদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার রক্ষার দাবিতে এবার দেশের রাজধানী দিল্লিতে বড়সড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মতুয়া সমাজ। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকছেন তৃণমূল সাংসদ তথা মতুয়া সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর।

দিল্লিতে কেন এই আন্দোলন?

ডিসেম্বর মাসেই দিল্লিতে বিশাল সমাবেশ, ধর্না ও অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করাই মহাসংঘের মূল লক্ষ্য। আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং দাবি প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের এক শীর্ষ নেতা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন:

“আমরা দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে বসবাস করছি, ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করছি। ২০০২ সালের পর থেকে যারা নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছেন, আজ আচমকা কোন যুক্তিতে তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে? আমরা এই এসআইআর মানব না।”

মহাসংঘের মূল দাবি, ২০০২ সালের পরে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে ছাঁটাই করা চলবে না। নিজেদের অধিকার ও সম্মান রক্ষায় এবার দিল্লির বুকেই বৃহত্তর আন্দোলনে নামছেন মতুয়ারা।

মমতার কৌশলী পদক্ষেপ:

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি তৃণমূলের একটি কৌশলী পদক্ষেপ। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, এসআইআর জল্পনার আবহে দল রাজনৈতিকভাবে যেমন প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তেমনই মতুয়াদের নিজস্ব সংগঠনকে সামনে রেখেও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে। একদিকে দলের কর্মসূচি, আর অন্যদিকে মতুয়া মহাসংঘের ব্যানারে সামাজিক আন্দোলন—এই দ্বিমুখী চাপেই কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বনগাঁয় মমতার আক্রমণ:

এদিকে, মঙ্গলবার বনগাঁর চাঁদপাড়া থেকে ঠাকুরনগর পর্যন্ত পদযাত্রা এবং জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন।

  • শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ: নাম না-করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ইঙ্গিত করে মমতা অভিযোগ করেন, ‘মোদির মন্ত্রিসভার এক সদস্য নিজেকে বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’ তাঁকে গ্রেফতারের দাবিও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

  • বিজেপিকে আক্রমণ: তিনি বলেন, “তৃণমূলের কেউ কিছু না-করলেও তাকে জেলে ঢুকিয়ে দাও। আর বিজেপির মন্ত্রীরা চুরি করলেও বিদেশে পাঠিয়ে দাও।”

এদিন এসআইআর-এর বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রী চাঁদপাড়া থেকে ঠাকুরনগর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পদযাত্রা করেন। মিছিলে মমতার সঙ্গে ছিলেন মমতাবালা ঠাকুর।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy