রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমারের কাছে দুটি জরুরি বিষয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ এবং বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই চিঠির কয়েক ঘণ্টা পরই সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজ আগরওয়াল।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির মূল বিষয়
সোমবার কমিশনকে পাঠানো মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে সিইও-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে:
-
ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ: মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ানো যাবে না বলে কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, রাজ্যের সিইও ১ হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং ৫০ জন সফ্টওয়্যার ডেভেলপার নিয়োগের টেন্ডার পাশ করলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি কোনও রাজনৈতিক দলের স্বার্থপূরণে নেওয়া সিদ্ধান্ত?”
-
বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, নির্বাচন কমিশন বেসরকারি আবাসনগুলিতে ভোটকেন্দ্র তৈরির কথা ভাবছে, যা কীভাবে সম্ভব? তাঁর মতে, শুধুমাত্র কোনও সরকারি বা আধা-সরকারি জায়গাতেই ভোটকেন্দ্র হওয়া প্রয়োজন।
সিইও-র জবাব: দিল্লির দিকে বল ঠেললেন মনোজ আগরওয়াল
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মনোজ আগরওয়াল। তিনি সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে নয়াদিল্লির দিকে বল ঠেলে দিয়েছেন এবং একজন সিইও-র ক্ষমতার সীমা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন:
-
ভোটকেন্দ্র প্রসঙ্গে: সিইও এই বিষয়ে মুখ না খুলে বলেছেন, “কমিশনের সিদ্ধান্ত। সিইও-র এই সকল নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা নেই।”
-
নিয়োগ প্রসঙ্গে: তিনি সাফ জানিয়েছেন, “এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত।” কয়েক বছর আগে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়ে একটি অভিযোগ আসায় নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে নির্বাচনের কাজে কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মীর ব্যবহার করা যাবে না।
-
নতুন টেন্ডার: তিনি জানান, নতুন নিয়োগের টেন্ডার নয়াদিল্লির নির্দেশেই দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি বিহার মডেলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, বিহারে টেন্ডার দিয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ হয়েছে, তাই কমিশন এখানেও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছে।