স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতি হলো তিন খুদে পড়ুয়ার। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বহিরা অঞ্চলে একটি বেসরকারি স্কুলের পুলকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে এই দুর্ঘটনার পরই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ উলুবেড়িয়ার বহিরা অঞ্চলের রাস্তা ধরে পাঁচ পড়ুয়াকে নিয়ে আসছিল ওই পুলকারটি। অভিযোগ, রাস্তায় অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়েই চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং পুলকারটি সোজা পুকুরের জলে গিয়ে পড়ে।
চালক পলাতক, স্থানীয়রাই প্রথম উদ্ধার করেন
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলকারের চালকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই চালক গাড়ি থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি চোখে পড়তেই তড়িঘড়ি পুকুরে ঝাঁপ দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পাঁচজন পড়ুয়াকে উদ্ধার করে দ্রুত নিকটবর্তী শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনজনের মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ১১ বছরের শৌভিক দাস, ৭ বছরের ইশিকা মণ্ডল এবং ৯ বছরের আরীন দাস-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত তিন পড়ুয়াই ওই এলাকার বাসিন্দা। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও দুই শিশু। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শুভম যাদব এবং উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক। পড়ুয়াদের উদ্ধারের জন্য ডুবুরিও নামানো হয়েছিল। কীভাবে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটল, রেষারেষির অভিযোগ সত্যি কিনা এবং পলাতক চালকের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোকের পাশাপাশি পুলকারের চালকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।