চীনা মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড, পর্যটকের মোমবাতি-ধূপ থেকে পুড়ে ছাই Wenchang Pavillion-এর মূল অংশ

চীনের জিয়াংসু প্রদেশের ১০০০ বছরের প্রাচীন Yongqing মন্দিরের অন্তর্গত একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন Wenchang Pavillion-এর মূল অংশ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। কয়েক দিন আগেও যেখানে পর্যটকদের ভিড় ছিল, সেখানে ঘটা এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশাসনের টনক নড়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ খোলসা:

গত ১২ নভেম্বর জিয়াংসু প্রদেশের Wenchang Pavillion মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। এক সপ্তাহ পর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেল, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী এক পর্যটকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা

  • বিপদ: প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এক পর্যটক মোমবাতি এবং ধূপ জ্বালিয়েছিলেন। কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো জ্বলন্ত অবস্থায় সেগুলি ফেলে রেখে যান, যার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

  • ক্ষয়ক্ষতি: আগুনের গ্রাসে ঐতিহাসিক নিদর্শনটির মূল অংশটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। যদিও অগ্নিকাণ্ডে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি এবং মূল ভবন থেকে অন্য প্রাচীন কাঠামোতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি, কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয় বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মন্দিরের পটভূমি:

Wenchang Pavilion একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হলেও, যে অংশটি পুড়ে ছাই হয়েছে সেটি প্রাচীন নয়।

  • প্রাচীন কাঠামো: Weather Monitor জানিয়েছে, মূল ভবনটির চারপাশের প্রাচীন অংশগুলি তৈরি হয়েছিল ৫৩৬ খ্রিস্টাব্দে, এবং সেগুলি সুরক্ষিত আছে।

  • নয়া সংযোজন: পুড়ে যাওয়া মূল অংশটির নির্মাণকার্য সম্পন্ন হয়েছিল ২০০৯ সালে। এটি নতুন তৈরি করা হলেও তাতে প্রাচীন চীনা ভাস্কর্যই ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। পাশের Yongqing মন্দিরই এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল।

প্রশাসনের পদক্ষেপ:

ঐতিহাসিক নিদর্শনটির এমন অবস্থায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। দোষীকে চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে পুড়ে যাওয়া অংশটি নতুন করে তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগুন ছড়ালে মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলও ধ্বংস হয়ে যেতে পারত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy