ভারত সরকার (GoI) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধে সাড়া দেবে না—এমন অনুমান করেই হয়তো এবার ইন্টারপোলের (Interpol) দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু শেখ হাসিনা নন, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়ে ইন্টারপোলের কাছে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির অনুরোধ জানানোর কথা ভাবছে।
ঘটনা প্রবাহ:
-
ভারতে আশ্রয়: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও একই সময়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
-
মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা: সোমবার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে।
-
ঢাকাকে চিঠি: সাজা ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে হাসিনাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করে। ঢাকা দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তির কথা উল্লেখ করে জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের ভারত আশ্রয় দিলে তা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের বিপরীত এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞা হবে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া ও ইন্টারপোলের পদক্ষেপ: ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা হাসিনাদের সাজা ঘোষণা সম্পর্কে অবগত। ভারত সবসময় বাংলাদেশের মানুষের শান্তি, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার পক্ষেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, হাসিনাদের প্রত্যর্পণ চেয়ে সরকারিভাবে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিতে চলেছে ঢাকা।
বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী গাজি এমএইচ তামিম জানিয়েছেন, হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আগেই ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে এবার রেড কর্নার নোটিস জারির অনুরোধ জানানো হবে।