তীর্থযাত্রীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরের কাছে অবস্থিত দ্বারকা নদীর জল মাথায় নিয়ে মা তারার পূজা করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। কিন্তু এই পবিত্র নদীটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। নদীর দুই পাড়ে থাকা হোটেল ও লজগুলি থেকে দিনের পর দিন নোংরা আবর্জনা এবং ব্যবহৃত জল সরাসরি নদীতে মিশে দূষণ ঘটাচ্ছে। এই গুরুতর অভিযোগের জেরে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন।
দ্বারকা নদীর দূষণ ঠেকাতে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ (TRDA) নদীর দুই পাড়ে থাকা হোটেল ও লজ মালিকদের চূড়ান্ত সতর্ক করেছে। অভিযোগ, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও বেশ কিছু লজ কর্তৃপক্ষ রাতের অন্ধকারেও ব্যবহৃত নোংরা আবর্জনা নদীতে ফেলে যাচ্ছে।
দূষণ রোধে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পরই বুধবার তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ অফিসে মহকুমা শাসক অশ্বিন বি রাঠৌর, TRDA-র চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে লজ মালিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সরকার দ্বারকা নদে জল শোধন প্রকল্প (Water Treatment Plant) স্থাপন করেছে। এই প্লান্টে তারাপীঠের সমস্ত লজ, হোটেল এবং রেস্তরাঁর ব্যবহৃত জল পরিশ্রুত করা হবে। কিন্তু বেশ কিছু লজ এই সরকারি নির্দেশের তোয়াক্কা করছে না।
রামপুরহাট মহকুমা শাসক কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট হোটেল মালিকদের সরকারি নির্দেশ মেনে সাত দিনের মধ্যে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে এবং কোনোভাবেই দ্বারকা নদীতে নিজেদের ব্যবহৃত জল ফেলা যাবে না। বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে লজ মালিকেরা উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।