নকশার সামান্য ত্রুটির জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা শেষ! কলকাতা পুরনিগম আইন বদল করে সরলীকরণের পথে, মেয়রের নির্দেশ

কলকাতা। স্বপ্নের বাড়ি তৈরির সময় নকশায় সামান্য ত্রুটি বা ‘মাইনর ডেভিয়েশন’ হলে আবেদনকারীদের আর দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা এবার বিল্ডিং বিভাগের ডিজি-কে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কলকাতা পুরনিগম। এই পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পরিবর্তন খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম আইন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।

কেন এই সরলীকরণ?

শহরে নিয়মনীতি মেনে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেও অনেক সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে নির্মাণে সামান্য ত্রুটি (যেমন—নকশার তুলনায় ১০-২০ বর্গ ফুট বাড়িয়ে নির্মাণ) থেকে যায়। এতদিন এই ‘মাইনর ডেভিয়েশন’-এর অনুমোদনের জন্য জরিমানা দেওয়ার পরও আবেদনকারীদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হতো।

  • প্রশাসনিক সুবিধা: কর্পোরেশন সূত্রে খবর, পুর আইন অনুযায়ী, এতদিন এই ধরনের ডেভিয়েশন অনুমোদনের বিষয়টি প্রথমে মেয়র পারিষদের কাছে পৌঁছত, তারপর মেয়র অনুমোদন দিতেন। এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর সময় নষ্ট হতো।

  • উন্নয়নমূলক কাজে দেরি: সম্প্রতি মেয়র পারিষদের বৈঠকে আলোচ্য ১৩০টি বিষয়ের মধ্যে ৯০টির বেশি ছিল এই মাইনর ডেভিয়েশন অনুমোদনের কাজ। এতে বাকি উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছিল এবং প্রতিটি বৈঠকেই হয়রানি পোহাতে হচ্ছিল।

নতুন প্রক্রিয়ার প্রস্তাব:

নতুন ভাবনা অনুযায়ী, আবেদন জমা পড়ার কিছু দিনের মধ্যে নির্মীয়মাণ বাড়িটি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা এবং রিভাইজ প্ল্যান খতিয়ে দেখবেন। এরপর সেই আবেদন আর মেয়র পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছবে না, বরং ডিজি বিল্ডিং সেটি অনুমোদন দিতে পারবেন।

এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানান, পুর আইন অনুযায়ী নকশা অনুমোদনের ক্ষমতা মেয়র ও মেয়র পরিষদের হাতে থাকলেও, সেই আইন বদল করা কতটা সম্ভব, তা জানতে আইন বিভাগকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তবে এই মাইনর ডেভিয়েশন ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের জরিমানা বাবদ টাকা দিতেই হবে। এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন হলে প্রশাসনিকস্তরে সুবিধা হবে এবং আবেদনকারীদেরও হয়রানি কমবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy