হাসনাবাদ। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষে ফের বড়সড় সাফল্য। মঙ্গলবার শীর্ষ নেতা মাডবী হিডমার মৃত্যুর পর এবার বুধবারও মাওবাদী বিরোধী অভিযানে খতম হলেন আরও সাতজন কুখ্যাত মাওবাদী। এই সাতজনের মধ্যে তিনজন মহিলা সদস্যও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সংঘর্ষের বিবরণ:
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের অলুরি সীতারামরাজু জেলার মারেদুমিলির জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। অন্ধ্রের গোয়েন্দাকর্তা এডিজি মহেশচন্দ্র লাড্ডা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ছয় মাওবাদীর মৃত্যুর পর বাকি সদস্যদের খোঁজে জঙ্গল ঘিরে রাতভর তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। ভোরবেলায় মাওবাদীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পাল্টা জবাবে সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়। অন্য সদস্যদের খোঁজে এখনও তল্লাশি জারি।
শনাক্তকরণ ও হিডমার মৃত্যু:
এডিজি মহেশচন্দ্র লাড্ডা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে শ্রীকাকুলামের বাসিন্দা মেটুরি জোখা রাও ওরফে ‘টেক শঙ্কর’ নামে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মৃত ওই মাওবাদী অন্ধ্র-ওড়িশা সীমানায় এরিয়া কমিটি মেম্বার (ACM) ছিলেন। বাকিদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
অন্যদিকে, কুখ্যাত নকশাল নেতা হিডমা-কে ছত্তিশগড়-অন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্তে সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে। সে ৭৬ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যার মূল চক্রী ছিল এবং সরকার তার মাথার দাম এক কোটি টাকা ঘোষণা করেছিল। খবরে রয়েছে যে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাকেও একই এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়েছে। এই সংঘর্ষের ঘটনাটি সুকমা জেলার এরারবোর থানা এলাকার, যেখানে দুদিন ধরে নকশাল ও জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।