বিগত শিল্পী জুবিন গর্গের প্রয়াণের শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের একবার শোকের ছায়া নেমে এল অসমের সঙ্গীত মহলে। ৫৬ বছর বয়সে সোমবার বিশিষ্ট বাঁশি বাদক দীপক শর্মা (flutist Dipak Sarma)-র আচমকা মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে বড় ধাক্কা লেগেছে।
দীর্ঘ অসুস্থতার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ:
প্রশংসিত এই সঙ্গীতশিল্পী দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর স্বাস্থ্যগত জটিলতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এদিন সকাল ৬.১৫ মিনিট নাগাদ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
চিকিৎসা: প্রথমে তাঁকে গুয়াহাটির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমানে তাঁকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।
সুরের জাদুকর: বাঁশির সুরে মোহিত করার জন্য পরিচিত ছিলেন দীপক শর্মা। তাঁর বাদ্যযন্ত্রের উপর দক্ষতা দেশের বাইরেও খ্যাতি এনে দিয়েছে। তাঁর সৃষ্ট সুরে ধ্রুপদী সংবেদনশীলতা এবং অসমিয়া লোকসংগীতের অপূর্ব মিশ্রণ ধরা পড়ত।
আর্থিক সংকট এবং মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তা:
ছোট্ট শহর নলবাড়ি জেলার পানিগাঁও গ্রাম থেকে উঠে আসা দীপক শর্মা তাঁর অতুলনীয় সঙ্গীত প্রতিভার কারণে অসমের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাঁশি বাদকদের একজন হয়ে উঠেছিলেন। তবে, জানা গেছে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী এই শিল্পী তাঁর শেষ জীবনে আর্থিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।
অসুস্থতাজনিত চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে তিনি গুরুতর আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন। সেই সময়, অক্টোবর মাসে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর চিকিৎসা ব্যয় বহনের জন্য ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিলেন।
জুবিন গর্গের মৃত্যুর পর দীপক শর্মার মৃত্যু অসমের সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।