ট্রাম্প প্রশাসনের শ্রম বিভাগ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিস্ফোরক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে, যেখানে সরাসরি ভারতকে নিশানা করে এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, সংস্থাগুলি তরুণ আমেরিকান কর্মীদের বাদ দিয়ে বিপুল সংখ্যায় বিদেশিদের নিয়োগ করছে।
মার্কিন শ্রম বিভাগ ‘এক্স’ পোস্টে লিখেছে, “তরুণ আমেরিকানরা তাদের স্বপ্ন হারাচ্ছে। কারণ কোম্পানিগুলি ব্যাপক ভাবে এইচ-১বি ভিসার অপব্যবহার করছে। তাদের বদলে চাকরি দেওয়া হচ্ছে বিদেশিদের।” পোস্টটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এবং শ্রমসচিব লরি শ্যাভেজ ডি রোমারের নেতৃত্বে এবার এই ভিসার অপব্যবহারকারী সংস্থাগুলির থেকে জবাবদিহি চাওয়া হবে এবং “মার্কিন নাগরিকদের স্বপ্ন পুনরুদ্ধার করা হবে।”
এই বিজ্ঞাপনের মূল ফোকাস ‘প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল’-এর উপর, যা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো এইচ-১বি ভিসার অপব্যবহার বন্ধ করা এবং বিশেষত প্রযুক্তি ও কৌশলগত ক্ষেত্রে বিদেশিদের দ্বারা মার্কিন নাগরিকদের প্রতিস্থাপন ঠেকানো।
৫১ সেকেন্ডের ভিডিও বিজ্ঞাপনে ১৯৫০-এর ‘আমেরিকান ড্রিম’-এর আবেগপ্রবণ দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যার সঙ্গে আধুনিক পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, এইচ-১বি ভিসার মোট অনুমোদনের ৭২ শতাংশ যায় ভারতের নাগরিকদের কাছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং শ্রমসচিব লরি শ্যাভেজ ডি রোমার এখন থেকে মার্কিনিদের নিয়োগে আগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ভিডিওটির শেষে স্লোগানটি ছিল, “প্রজেক্ট ফায়ারওয়ালের মাধ্যমে আমরা সংস্থাগুলির দ্বারা এইচ-১বি ভিসার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমেরিকানদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার নিশ্চিত করছি। আমেরিকার জনগণের জন্য আমরা আমেরিকান ড্রিম পুনরুদ্ধার করব।” মার্কিন প্রশাসনের এই কড়া পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কর্মসূচি পুনরুজ্জীবিত হতে চলেছে, যার ফলে এইচ-১বি ভিসা ব্যবহারকারী বহু প্রবাসী ভারতীয় কর্মী চাকরি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।