রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সাম্প্রতিককালে চিকিৎসক নিগ্রহ এবং রোগীর আত্মীয়দের যৌন হেনস্থার মতো একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বাড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নিল নবান্ন। শনিবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রোগী, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় একাধিক কঠোর নির্দেশ জারি করেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সিসিটিভি আছে। তবে তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। সিসিটিভি ঠিক করে মনিটর হয় না বলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।”
সিসিটিভির নজরদারি বাড়াতে হবে এবং তার সঠিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে।
নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়োগকারী এজেন্সিগুলির কাজের মান খতিয়ে দেখতে হবে।
যাঁরা নিরাপত্তার কাজে যুক্ত হচ্ছেন, তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক (Background Check) করা আবশ্যিক।
সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পরিচয়পত্র (Identity Card) দেখানো আবশ্যিক করতে হবে।
এই নির্দেশের মাধ্যমে নিরাপত্তার গাফিলতি এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের প্রবেশ আটকাতে কড়া হতে চাইছে প্রশাসন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কারা?
হাসপাতালের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বাড়ানোর এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রাজ্যের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, সুপার, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক নিগ্রহ, এসএসকেএম হাসপাতালে নাবালিকার যৌন হেনস্থার অভিযোগ এবং আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উঠেছিল। এসএসকেএম-এর ঘটনার পরই নবান্ন দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গিয়েছিল। এই জরুরি বৈঠক তারই ফলশ্রুতি।