ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার মাত্র ৯ দিন পর গাজার রাফা শহরে উত্তেজনা আবার বেড়ে গেল। ইজরায়েলের দাবি, হামাস তাদের সৈন্যদের ওপর রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড (RPG) এবং স্নাইপার ফায়ার ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ইজরায়েলি সেনা (IDF) রাফায় এয়ারস্ট্রাইক করেছে।
ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, এই হামলাটি ‘ইয়েলো লাইন’-এর বাইরে ঘটেছে, যেখানে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর পিছু হটার কথা ছিল। হামলায় ইজরায়েলি সেনাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যদিও কতজন সেনা হতাহত হয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
নেতানিয়াহুর জরুরি বৈঠক
এই গুরুতর ঘটনার পরই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সেনা প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
যদিও হামাস এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। সংগঠনটির বরিষ্ঠ নেতা ইজ্জত আল-রিশক টেলিগ্রামে বলেছেন যে, হামাস এখনও যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে এবং ইজরায়েল মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তাদের হামলাকে বৈধ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।
হামাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিস্ফোরক রিপোর্ট
এরই মধ্যে আমেরিকার বিদেশ দফতর একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। আমেরিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আছে যে হামাস গাজার সাধারণ মানুষের ওপর অবিলম্বে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। আমেরিকা একে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।
মার্কিন বিদেশ দফতর সতর্ক করে বলেছে যে, যদি হামাস এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে, তবে গাজার জনগণের সুরক্ষা এবং যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
রাফা ক্রসিং বন্ধের নির্দেশ
যুদ্ধবিরতির মাঝে রাফা ক্রসিং (Rafa Crossing) নিয়েও নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে গাজা এবং মিশরের মধ্যেকার রাফা ক্রসিং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যতক্ষণ না হামাস নিহত ইজরায়েলি পণবন্দিদের মৃতদেহ ফিরিয়ে দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই রাস্তা খোলা হবে না। ফিলিস্তিনি দূতাবাসের এই দাবির পরই নেতানিয়াহু এই নির্দেশ দিলেন যে রাফা ক্রসিং সোমবার থেকে আবার খোলা হবে।