বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় টিকিট বন্টনকে কেন্দ্র করে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর (জেডিইউ) নেতা ও কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর জেরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পাটনার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ ও ধর্না বাড়তে থাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে জেডিইউ-এর বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মী সোমবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা বাসভবনের বাইরের এলাকা দড়ি দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন।
ধর্নায় অনড় প্রাক্তন বিধায়ক
বিক্ষোভে সামিল হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ধর্নায় অনড় রয়েছেন ভাগলপুর জেলার গোপালপুর আসন থেকে টানা চারবারের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল মণ্ডল। কুর্থা, নবীনগর এবং দারভাঙ্গার কর্মীরাও এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন, যার ফলে ভিড় আরও বেড়েছে।
বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গোপাল মণ্ডল বলেন, “আমি এখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি এবং যতক্ষণ না আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করে টিকিট পাওয়ার আশ্বাস পাচ্ছি, ততক্ষণ এখানেই বসে থাকব। আমি তাঁর জন্য অপেক্ষা করব, নিরাপত্তা কর্মীরা চাইলে আমার উপর লাঠিচার্জ করতে পারেন।”
পদত্যাগ করতে চাইলেন বর্তমান বিধায়ক
অসন্তোষের জেরে ভাগলপুরের বর্তমান বিধায়ক অজয় মণ্ডলও নীতীশ কুমারের কাছে একটি চিঠি জমা দিয়েছেন, যেখানে তিনি তাঁর সংসদীয় আসন থেকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভাগলপুর লোকসভা আসনে তাঁকে প্রার্থী করেনি জেডিইউ। বিধানসভাতেও একই ঘটনা ঘটায় তিনি প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জোটের আসন বন্টন
প্রসঙ্গত, বিহারের ২৪৩ সদস্যের বিধানসভা নির্বাচন ৬ এবং ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর।
জেডিইউ এবং বিজেপি জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগির চুক্তি অনুসারে, বিজেপি ও জেডিইউ ১০১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ২৯টি আসনে লড়ার সম্মতি পেয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (জিতন রাম মাঞ্জির) প্রত্যেককে ছয়টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।