দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জে এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে সোমবার নির্যাতিতার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর কড়া মন্তব্য রাজ্যজুড়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এদিন তিনি স্পষ্ট জানান, ‘আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি না যে বাংলা নিরাপদ।’
রাজ্যপাল এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন,
“যা ঘটেছে তা অত্যন্ত জঘন্য। আমাদের সকলের একসঙ্গে দাঁড়িয়ে বলার সময় এসেছে, থামো, নাহলে আমরা এটা বন্ধ করে দেব। পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য আমরা সবকিছু করব।”
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ঘটনা বাংলায় ‘প্রথমবার নয়’, সাম্প্রতিক অতীতেও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। বাংলার সমাজের প্রতি তাঁর বার্তা: “বাংলাকে কন্যাসন্তানদের জন্য নিরাপদ করে তোলা উচিত। আমরা এখানে দ্বিতীয়বারের মতো নবজাগরণ চাই।”
নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রিপোর্ট নয়, মূল বিষয়টি ও নির্যাতিতার অনুভূতি নিজে বুঝতে চেয়েছেন।
অন্যদিকে, এই দিনেই নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি শুরু থেকেই এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের দাবিতে সরব।
গত শুক্রবার, ১০ অক্টোবর রাতে দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বন্ধুর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, রাত ৮টা নাগাদ পরাণগঞ্জের জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। শনিবার সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা রাজ্য উত্তাল হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত আশ্বাস দেন, জড়িতরা কড়া শাস্তি পাবে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।