দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে।
কলেজে কড়া নিরাপত্তা:
গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছে। আইকিউ সিটি হাসপাতালে (মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন) বিভিন্ন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখানোর পর পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। কোনো রকম অশান্তি এড়ানো এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
কলেজের গেটের সামনে গার্ডরেল দেওয়া হয়েছে, যাতে সহজে কেউ প্রবেশ করতে না পারেন।
কলেজে আগত সকলের কেন আসছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে।
চিকিৎসক, নার্স, পড়ুয়া সকলেরই আই-কার্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোতায়েন করা হয়েছে পুরুষ ও মহিলা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের।
ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল:
আজ দুর্গাপুর সফরে আসছেন ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। চেয়ারপার্সন শোভনা মহান্তির নেতৃত্বে এই দল নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাঁর চিকিৎসার কী বন্দোবস্ত হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করবেন।
সহপাঠীর ভূমিকা ও রাজনৈতিক বিতর্ক:
এই গণধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে নির্যাতিতার এক সহপাঠীর ভূমিকা। এই সহপাঠীর সঙ্গেই তরুণী ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাবা আগেই এই সহপাঠীর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। পুলিশ বর্তমানে ওই সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তবে এখনও তাঁকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন মাস তিনেক আগে ওই মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন এবং আরেকজন ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ধৃতদের রাজনৈতিক সংযোগ নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেছেন, ধৃতদের মধ্যে একজন দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী এবং তার বাবা স্থানীয় তৃণমূল নেতা।