ভোটার তালিকা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন রাহুল গান্ধী! কর্ণাটকে কারচুপির অভিযোগের তদন্তের আর্জি খারিজ, ECI-এর কাছে যাওয়ার নির্দেশ

কর্নাটকে ভোটার তালিকায় বড়সড় কারচুপির অভিযোগের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের আর্জি জানিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা (PIL)-এ সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ এই PIL শুনতে সরাসরি অস্বীকার করেছে। আদালত জানিয়েছে যে, আবেদনকারী এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ECI) কাছে যেতে পারেন।

বেঞ্চের সংক্ষিপ্ত নির্দেশে বলা হয়েছে, “আমরা আবেদনকারীর আইনজীবীর কথা শুনেছি। আমরা এই জনস্বার্থ মামলাটি শুনতে আগ্রহী নই। আবেদনকারী চাইলে ECI-এর কাছে যেতে পারেন।”

আবেদনকারীর অভিযোগ:
অ্যাডভোকেট এবং কংগ্রেস সদস্য রোহিত পাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেন। তিনি বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল সহ অন্যান্য কেন্দ্রে ভোটার তালিকা কারচুপির বিষয়ে গত ৭ আগস্ট কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর করা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এই আবেদন জানান। পিটিশনে রাহুল গান্ধীর সাংবাদিক সম্মেলনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে তিনি বেঙ্গালুরুর মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় প্রকৃত ভোটারদের নাম নিয়ে বড়সড় কারচুপি এবং ভুয়ো নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ করেছিলেন।

পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকাশিত তথ্যে ভোটার তালিকার কিছু অংশ রয়েছে, যেখানে একাধিক পোলিং পার্টে একই নাম, অস্তিত্বহীন বা বাণিজ্যিক ঠিকানার সাথে যুক্ত নাম এবং অন্যান্য ধরনের কারচুপির প্রমাণ মিলেছে।

** PIL-এ করা মূল আর্জিগুলি:**
পিটিশনে মূলত নির্বাচন কমিশনকে নিম্নলিখিত নির্দেশিকা জারি করার আর্জি জানানো হয়েছিল:
১. ভোটার তালিকা তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সততা নিশ্চিত করা।
২. নকল বা ভুয়ো নাম শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. আদালতের নির্দেশ মেনে চলা এবং একটি স্বাধীন অডিট সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ভোটার তালিকার আর কোনও সংশোধন বা চূড়ান্তকরণ স্থগিত রাখা।
৪. ECI-কে ভোটার তালিকাগুলি সহজলভ্য, মেশিন-রিডেবল এবং OCR-কমপ্লায়েন্ট ফর্ম্যাটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া, যাতে জনসাধারণের দ্বারা তা যাচাই করা সম্ভব হয়।

আবেদনকারীর দাবি, এই ধরনের কাজ যদি সত্যি হয়, তবে তা সংবিধানের ৩২৫ এবং ৩২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে থাকা ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ নীতির মূলে আঘাত হানবে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে রাজি না হওয়ায়, কংগ্রেসকে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে হবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy