তিরুবনন্তপুরম: দামি গাড়ি কেনার দাবিতে বাবার উপর ছেলের ক্রমাগত চাপ দেওয়া নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর সামনে এসেছে তিরুবনন্তপুরম থেকে। এই ঘটনার জেরে ভাঞ্চিয়ুর পুলিশ ছেলে হৃধিককে আক্রমণ করার অভিযোগে তাঁর বাবা বিনয়ানন্দ (৬০)-কে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক থাকার পর অভিযুক্ত বিনয়ানন্দ রবিবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃধিক অনলাইন এমবিএ কোর্স করছেন এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। গত জুন মাসে তাঁকে ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বাইক উপহার দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ অফিসার জানান, “ছেলে বাইকের প্রতি আচ্ছন্ন ছিল এবং ক্রমাগত নতুন বাইক কেনার জন্য টাকা চাইত। আগে কোনও পুলিশি অভিযোগ না থাকলেও, প্রতিবেশীরা প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে রাতারাতি ঝগড়ার শব্দ শুনতেন। ছেলেটি মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার জন্য চিকিৎসাধীনও ছিল।”
৫০ লাখ টাকার দাবিতে সংঘর্ষ:
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২:৩০ নাগাদ তাঁদের থোপ্পিল লেনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এফআইআর অনুসারে, হৃধিক তাঁর বাবা—যিনি শহরে একটি ক্যাফে চালান—তাঁর কাছে একটি মোটরসাইকেল এবং একটি গাড়ি কেনার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এর পরই দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ, বিনয়ানন্দ তখন একটি ধাতব রড দিয়ে হৃধিককে আঘাত করেন, যার ফলে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। হৃধিক বর্তমানে তিরুবনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বন্ধুর বয়ানে নতুন মোড়:
হৃধিকের গত ছয় বছরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশিস এই ঘটনায় হতবাক। তিনি জানান, “আমরা সবাই মর্মাহত। ওর মা আমাকে বলেছিলেন যে ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না কারণ তিনি তাঁর ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে দেখাশোনা করতে বাইরে গিয়েছিলেন। ঠিক কী হয়েছিল, তা শুধুমাত্র হৃধিক এবং ওর বাবাই জানেন।”
আশিস আরও যোগ করেন, “এটা সত্যি যে হৃধিক বাইক পছন্দ করত, তবে আচ্ছন্নভাবে নয়। সে কখনও অন্য বাইক কেনার কথা বলেনি। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, সে একটি গাড়িও চেয়েছিল, কিন্তু ওর তো গাড়ি চালানোর লাইসেন্সই নেই। সে চালাতে না পারলে গাড়ি চাইবে কেন?” এই বক্তব্য ঘটনাটিকে অন্য দিকে মোড় দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।