প্রাক্তন এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়ানখেড়ে সম্প্রতি শাহরুখ খানের প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে আরিয়ান খানের জীবন অবলম্বনে তৈরি নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘দ্য ব্যাডস অফ বলিউড’। সমীরের অভিযোগ, এই সিরিজে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে।
ব্যক্তিগতভাবে শাহরুখ খানের সঙ্গে কোনো বিদ্বেষ রয়েছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে সমীর ওয়ানখেড়ে একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন, “একদমই নয়… আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা। আইন অনুযায়ী কাজ করি। আমাদের সংবিধান আছে, একটা সিস্টেম আছে। কারও প্রতি এত বড় শত্রুতা বা ক্ষোভ রাখার প্রশ্নই ওঠে না। এসব কথা নিছক গুজব।”
তিনি আগেও দাবি করেছেন, সিরিজে তাঁর চরিত্রকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছে, যা তাঁর পেশাগত সুনাম নষ্ট করেছে। এই মামলার শুনানি বর্তমানে চলমান।
২. পবন-বিতর্কে নয়া মোড়: পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের অভিযোগ জ্যোতির
ভোজপুরি অভিনেতা পবন সিং এবং তাঁর স্ত্রী জ্যোতি সিংয়ের বিবাহবিচ্ছেদ বিতর্ক এখন প্রকাশ্যে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৮ অক্টোবর দু’জনেই আলাদা আলাদা সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
মুম্বইয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতি তাঁদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, তাঁকে একাধিকবার গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। জ্যোতি অভিযোগ করেন, তিনি স্বামীর হাতে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
জ্যোতির কথায়, “তিনি (পবন) বলেন, তিনি নাকি সন্তান চান। কিন্তু যে সত্যিই সন্তান চায়, সে কি নিজের স্ত্রীকে ওষুধ দেয়? আমাকে বারবার ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এক রাতে তিনি ২৫টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জ্যোতির দাবি, এই মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারে তাঁর স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩. বাড়িতে হামলার পরও হুইলচেয়ার নিলেন না সইফ, আসল ‘খিলাড়ি’ কেন বললেন অক্ষয়?
অভিনেতা সইফ আলি খান তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে হওয়া হামলার একটি পুরনো ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। সইফ জানান, হামলার পর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি হুইলচেয়ারে বসতে অস্বীকার করেছিলেন। এমনকি হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরও তিনি অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফেরেননি।
‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’-এ অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন সইফ। বান্দ্রায় ১৬ জানুয়ারি ভোরে সইফের বাড়িতে তাঁর উপর হামলা হয়েছিল।
সইফ বলেন, আঘাতটি গুরুতর ছিল এবং ঘাড়ের দিকে সেলাই করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হুইলচেয়ার বা অ্যাম্বুলেন্স নিতে রাজি হননি। তাঁর যুক্তি ছিল, “কেন বাড়তি আতঙ্ক বা দুশ্চিন্তা তৈরি করব? পরিবার, ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী সকলেই চিন্তায় পড়বেন। তাই আমি হেঁটে বের হলাম, যেন সবাই দেখে বুঝতে পারে আমি ভালো আছি।”
এসময় অক্ষয় কুমার সাইফের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, “তুমি সত্যিই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছ। এমনটা সবাই পারে না। তুমি তোমার ছেলে আর পরিবারের কাছে সত্যিকারের নায়ক।” যদিও সইফ জানান, পরে তাঁর হেঁটে বের হওয়ার ঘটনা নিয়েও অনেকে নানা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল।