“ভূগোল পাল্টে দেব!” পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধানের, ‘অপারেশন সিঁদুর ২’-এর ঘোষণা

পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় মদতে সন্ত্রাসবাদকে (State-sponsored terrorism) সমর্থন করা বন্ধ করতে হবে। না হলে মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়া হবে! এই চরম হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর ২’ (Operation Sindoor 2)-এর ইঙ্গিত দিয়ে কড়া বার্তা দেন।

সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “খুব শীঘ্রই অপারেশন সিঁদুর ২, পাকিস্তানের ইতিহাস ভূগোল পাল্টে যাবে। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা বন্ধ করতে হবে, না হলে ম্যাপ থেকে মুছে ফেলব। পাকিস্তান যদি মানচিত্রে তার স্থান ধরে রাখতে চায়, তাহলে তাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “‘অপারেশন সিঁদুর ১’-এর মতো অতটা সংযম থাকবে না। এবার পাকিস্তানকে ভাবতে হবে ইতিহাস-ভূগোলে থাকবে কিনা। ভূগোলে থাকতে হলে রাষ্ট্রীয় মদতে সন্ত্রাস বন্ধ করতেই হবে।”

বায়ুসেনা প্রধানের দাবি: ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিহাসে মনে থাকবে
এর আগে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিংহর মন্তব্যেও চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিংহর দাবি, পূর্বের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ফল পাকিস্তানকে ভোগ করতে হয়েছে।

বায়ুসেনা প্রধানের দাবি: তিনি বলেন, “পহেলগাঁওকাণ্ডে পাকিস্তানকে দাম দিতে হয়েছে। ইতিহাসে অপারেশন সিঁদুরকে মনে রাখা হবে।”

নির্দিষ্ট লক্ষ্য: তাঁর দাবি, নির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখে ৩-৪ দিনে যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার ভিতরে গিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি: বায়ুসেনা প্রধানের দাবি, পাকিস্তানের ৪-৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটি সি-১৩০ বিমান ও মিসাইল সিস্টেমও ধ্বংস হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি: আগ্রাসন হলে ভূগোল বদলে যাবে
ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। গুজরাতের কচ্ছের রণের ‘স্যর ক্রিক’ সীমান্ত এলাকা সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে, যেখানে সম্প্রতি পাকিস্তান সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। রাজনাথ সিং হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের তরফে কোনও আগ্রাসন হলে তার এমন কড়া জবাব দেওয়া হবে যে ইতিহাস-ভূগোল দুটোই বদলে যাবে।

পাক অধিকৃত কাশ্মীর উত্তাল, সরকার আলোচনায় বসছে
এদিকে, যখন সীমান্তে ভারত চরম হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, তখন ঘরের মধ্যেই লাগাতার আন্দোলনে নাস্তানাবুদ হচ্ছে পাক সরকার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল হয়েছে পরিস্থিতি।

লাগাতার আন্দোলনে নাজেহাল পাক প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। পাক প্রশাসন অবশ্য অশান্তির জন্য বহিরাগত শক্তিকে দায়ী করেছে। সূত্রের খবর, উত্তপ্ত POK-তে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে এবং পাক প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে মুজফফরাবাদে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, পাক পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy