মহাকাশে স্তব্ধতা! সরকারি অচলাবস্থার বলি NASA, বন্ধ হল অধিকাংশ কাজকর্ম— এখন কী হবে মঙ্গল অভিযানের?

মার্কিন কংগ্রেসে বাজেট বা অস্থায়ী তহবিল-ব্যবস্থা পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সরকারি অচলাবস্থার জেরে নিজেদের কাজকর্ম বন্ধ (Shutdown) করার ঘোষণা করেছে নাসা (NASA)। সংস্থার ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অচলাবস্থা চলবে।

প্রায় ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম সরকারি অচলাবস্থার কারণে নাসা সহ সরকারি সংস্থাগুলিতে হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

কোন কাজ চলছে আর কোনগুলি বন্ধ?
সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষার জন্য কেবলমাত্র অপরিহার্য বা প্রয়োজনীয় কর্মীরাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হলো, মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা থেকে শুরু করে জনসাধারণের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত নাসার বেশিরভাগ প্রকল্প স্থগিত রাখা হয়েছে।

যে কাজগুলি এখনও সক্রিয় রয়েছে:

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ থাকা নভশ্চরদের পর্যবেক্ষণ।

সৌরজগৎ জুড়ে বর্তমানে পরিচালিত মহাকাশযানগুলির পর্যবেক্ষণ।

গ্রহাণু ট্র্যাকিংয়ের মতো গ্রহ প্রতিরক্ষা কার্যক্রম।

এই উদ্যোগগুলি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হওয়ায় সীমিত সংখ্যক কর্মী দিয়ে সেগুলি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

যেগুলি বন্ধ রয়েছে:

সংস্থার দৈনন্দিন যোগাযোগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি নিষ্ক্রিয়।

চলমান মিশনগুলি বিলম্বিত হচ্ছে।

আসন্ন উৎক্ষেপণের প্রস্তুতিমূলক কাজ, যেমন আর্টেমিস প্রোগ্রামের পরবর্তী পদক্ষেপ দেরির সম্মুখীন হতে পারে।

গবেষণা ও ভবিষ্যতের মিশনে ব্যাপক প্রভাব:
এই অচলাবস্থার ফলে নাসার তহবিল সমর্থিত গবেষণা প্রকল্পগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে। এর ফলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও, নাসার সঙ্গে কাজ করা ঠিকাদাররাও বাধার সম্মুখীন হতে পারেন।

ওয়াশিংটনে এই অচলাবস্থা যত দীর্ঘস্থায়ী হবে, চাঁদে অনুসন্ধান এবং মঙ্গল অভিযানের মতো উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যগুলিতে গতি বজায় রাখা নাসার পক্ষে তত কঠিন হয়ে পড়বে। এই ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিল যে, রাজনৈতিক অচলাবস্থা কীভাবে সরাসরি বিজ্ঞান এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy