দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী পেরোতেই উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে যায় এক ভিন্ন লোকায়ত দেবীর আরাধনা। দশমীর পরের দিন, অর্থাৎ একাদশীর পুণ্য তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় দেবী ভান্ডানির পূজা। মূলত স্থানীয় কৃষক সম্প্রদায়ই এই পুজোর মূল আয়োজক। জেলার বিভিন্ন অংশে, যেমন মাল ব্লকের ক্রান্তির চেকেন্দা এবং হেলাপাকরি এলাকায় এই পুজো ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ক্রান্তির চেকেন্দায় দেবী ভান্ডানি ‘পুরুষবেশী’ রূপেও পূজিত হন।
কৈলাসগামী দেবীকে আটকে আরাধনা:
এই লোকায়ত পুজোর পিছনে রয়েছে এক করুণ কাহিনি ও গভীর বিশ্বাস। লোকমুখে প্রচলিত, যখন দেবী দুর্গা মহিষমর্দিনী রূপে দশমীর দিনে কৈলাসে ফিরে যাচ্ছিলেন, সেই সময় ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার কৃষকরা তাঁকে আটকে দেন। একসময় এই অঞ্চলে ভয়াবহ অজন্মা ও খরা দেখা দেয়। ফসল না হওয়ায় কৃষকদের ঘরে চরম দারিদ্র নেমে আসে।
দরিদ্র চাষীরা তাই কৈলাসগামী দেবীর কাছে কাতর আর্তি জানান। তাঁরা অনুরোধ করেন, দেবী যেন তাঁদের পূজা গ্রহণ করে ‘ভান্ডানি’ রূপে বিরাজ করেন এবং অজন্মা ঘুচিয়ে তাঁদের শস্যের ভাঁড়ার ভরে দেন। কৃষকদের সেই আরাধনায় সাড়া দিয়ে দেবী দুর্গা একাদশীর দিনে দেবী ভান্ডানি রূপে পূজা গ্রহণ করেন এবং শস্যগোলা ভরিয়ে দেন। সেই থেকে এই দেবীর আরাধনা চলে আসছে।
দেবী ভান্ডানির বিশেষত্ব:
দেবী ভান্ডানি দ্বি-ভূজা এবং তাঁর বাহন ব্যাঘ্র। এখানে ভান্ডানি মায়ের সঙ্গে তাঁর চার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকও পূজিত হন। মহা ধূমধামের সঙ্গে একদিনের এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং একে কেন্দ্র করে বসে লোকায়ত মেলা। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী কৃষক সম্প্রদায়ের কাছে এই পূজা কেবল উৎসব নয়, এটি জীবনধারণ ও সমৃদ্ধির প্রতীক।
সংবাদ ২: NSG কমান্ডো গ্রেফতার
নজরকাড়া, ক্লিকযোগ্য শিরোনাম (৩টি):
১. তাড়াতাড়ি ক্লিক করুন! ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রাক্তন NSG কমান্ডো এবার জালে, উদ্ধার হলো ২০০ কেজি গাঁজা, কীভাবে চলত কারবার?
২. গাঁজা পাচার নেটওয়ার্কের মাথা! প্রাক্তন NSG কমান্ডো গ্রেফতার, তাঁকে ধরতে ২৫ হাজার টাকার পুরস্কারও ঘোষণা হয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য!
৩. সেনাবাহিনী থেকে মাদক পাচার! প্রাক্তন NSG কমান্ডোকে ধরল পুলিশ, ওড়িশা-তেলেঙ্গানায় পাচারের অভিযোগে তোলপাড় দেশ!
DailyHunt-এর জন্য পুনর্লিখিত সংবাদ:
গাঁজা পাচার নেটওয়ার্কের মাথা! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অংশ নেওয়া প্রাক্তন NSG কমান্ডো গ্রেফতার, উদ্ধার হলো ২০০ কেজির বেশি মাদক
নয়াদিল্লি: দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকার পরও অবৈধ মাদক পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ! অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল গাঁজা পাচার চক্রের অন্যতম মাথা, যিনি একসময় জাতীয় সুরক্ষা বাহিনীর (NSG) প্রাক্তন কমান্ডো ছিলেন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে ২৬/১১ তাজ হামলার সময় তিনি অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে এই নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২৫,০০০ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। অবশেষে, গত বুধবার রাতে রাজস্থানের চুরু থেকে অভিযুক্ত প্রাক্তন কমান্ডোকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
২০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার:
পুলিশের তল্লাশি অভিযানে তার কাছ থেকে ২০০ কিলোগ্রামেরও বেশি নিষিদ্ধ মাদক (গাঁজা) উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই প্রাক্তন কমান্ডো মূলত ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় বিপুল পরিমাণে গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একসময় দেশের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা একজন কমান্ডোর এমন গুরুতর অপরাধে যুক্ত থাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। তার এই আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।