বিজয়া দশমীর দিনে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ— সর্বত্রই মহিলারা মেতে উঠলেন মা দুর্গাকে বরণ ও সিঁদুর খেলায়। এই উৎসবে সামিল হলেন টলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম এবং মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (রায়)। একজন বিয়ের পর প্রথম সিঁদুর খেলার উচ্ছ্বাসে, অন্যজন কলকাতার বাইরে গিয়েও হাজারো নারীর ভালোবাসায় হলেন অভিভূত।
মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিয়ের পর প্রথম সিঁদুর খেলার ‘অন্য অনুভূতি’
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ রায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম সিঁদুর খেলা।
হাজরা পার্কে স্বামী সঙ্গে: মল্লিকা তাঁর স্বামী রুদ্রজিৎকে সঙ্গে নিয়ে হাজরা পার্কে সিঁদুর খেলতে এসেছিলেন।
সিঁদুরের অর্থ: সিঁদুর খেলার পর তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, “আমার কাছে সিঁদুর মানে সম্মান।” তিনি জানান, প্রতি বছরই হাজরা পার্কে আসেন, কিন্তু “এ বছরটায় অন্য অনুভূতি কাজ করছে। বরকে নিয়ে এসেছি। এবার তাই অন্যরকমের অনুভূতি।”
রুদ্রজিতের বক্তব্য: মল্লিকার চিকিৎসক স্বামী ডা. রুদ্রজিৎ রায় বলেন, “অন্য অনুভূতি তো বটেই। গতবারও এসেছিলাম। ভাবছিলাম কবে এভাবে আসব দু’জনে। আজ সেই ভাবনা সফল। আমরা দু’জনে একসঙ্গে আজ এখানে সিঁদুর খেলায়।”
পাওলি দাম: দুর্গাপুরের ভালোবাসায় অভিভূত
অভিনেত্রী পাওলি দাম এবার কলকাতা ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের মার্কনী দক্ষিণপল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসবে। সেখানে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরা কয়েকশো মহিলার সঙ্গে ডান্ডিয়া নাচ ও সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন তিনি।
অভিভূত পাওলি: পাওলি বলেন, “আমার আজ দারুণ লাগল। কলকাতা থেকে এত দূরে জীবনে প্রথম সিঁদুর খেলায় অংশ নিলাম।” তিনি আরও বলেন, “কয়েকশো মহিলা লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে যখন আমাকে বরণ করল, আমি তাতে অভিভূত।”
বৃষ্টি সত্ত্বেও ‘স্পিরিট’: পুজোজুড়ে বৃষ্টি থাকলেও মানুষের স্পিরিট হারায়নি বলে উল্লেখ করেন পাওলি। তিনি বলেন, “পুজোর যে স্পিরিট সেটা কিন্তু বাংলার মানুষ হারাননি।”
কাজের ঘোষণা: অভিনেত্রী নিজের পরবর্তী কাজ নিয়ে বলেন, আগামী ৭ তারিখ তাঁর অভিনীত ছবি ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’ মুক্তি পাবে এবং আগামী বছর আসবে ‘বিবি পায়রা’। কাজের ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই সিলেক্টিভ বলে জানান।
সবশেষে পাওলি এবং মল্লিকা দু’জনের গলাতেই উৎসবের আনন্দ ও তার বিদায়ের বিষাদের সুর শোনা গেল।