দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি প্রতি বছরই তাদের থিম দিয়ে দর্শনার্থীদের চমক দিয়ে থাকে। পশ্চিম বর্ধমানের অন্যতম এই বিগ বাজেটের দুর্গাপূজো এবছর তাদের ৩৮তম বর্ষে থিম হিসেবে বেছে নিয়েছিল ‘সোনার বাংলা’। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যার নিখুঁত শিল্পকর্ম ও অভিনব পরিকল্পনায় মণ্ডপ সেজে উঠেছে, যা দেখতে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল-সহ আশপাশের জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা ভিড় করেছেন।
১৩০ ফুট এলাকা জুড়ে হস্তশিল্পের প্রদর্শনী
১৩৭ ফুট এলাকা জুড়ে ও ৭৫ ফুট উচ্চতায় বিশাল এই মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে। মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণরূপে বাংলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের নিদর্শন ফুটিয়ে তুলে।
উপকরণ: বাঁশ, বেত, কাঠের বাটাম, হোগলা পাতা, শুকনো আঁকাবাঁকা ডালপালা, কাপড়, পাট এবং ডোকরার মূর্তি-সহ ফাইবারের নানান মডেল ব্যবহার করা হয়েছে।
শিল্পীর কারুকার্য: মণ্ডপ শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা-র নিখুঁত শিল্পকর্ম ও সম্পূর্ণ অভিনব পরিকল্পনায় মণ্ডপ সেজে উঠেছে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জায়। মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই দুর্গা প্রতিমাও গড়েছেন এই শিল্পী।
পুজো কমিটির চিফ পেট্রন কবি দত্ত ও সভাপতি রামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় জানান, বিশ্বব্যাপী বাংলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের যে সুনাম রয়েছে, তারই মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে তাঁদের দুর্গাপুজোর মণ্ডপ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জনতার ঢল
দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানের সুন্দর খোলা-মেলা পরিবেশে এই পুজোকে কেন্দ্র করে ছোট আকারের মেলা বসেছে।
সাংস্কৃতিক আকর্ষণ: পঞ্চমী থেকে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠান হয়েছে। এবার মঞ্চে এসেছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও অন্বেষা পাত্র-সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পীরা।
দর্শনার্থী: তৃতীয়া থেকেই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। দিনে ও রাতে সমানতালে হাজার হাজার মানুষ এই অভিনব মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করতে এসেছেন এবং সুন্দর খোলা-মেলা পরিবেশে বিশ্রামও নিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যার তৈরি এই মণ্ডপ ও প্রতিমা এবার সত্যিই দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।