উৎসব মানেই শুধু থিম আর আলোকসজ্জা নয়, উৎসবের মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দেওয়াও সম্ভব— তা আবারও প্রমাণ করল ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের জগন্নাথপুর গান্ধি লাইব্রেরি ক্লাব। ১৫তম বর্ষে পা রেখে ক্লাবটি বেছে নিয়েছে এক অনন্য পরিবেশবান্ধব থিম: “বিশ্ব উষ্ণায়নের রক্ষাকবচ”। এই অভিনব উদ্যোগ দেখতে ইতিমধ্যে ভিড় জমছে দর্শনার্থীদের।
উদ্দেশ্য একটাই— বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে সবুজের গুরুত্ব বোঝানো এবং পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করে শিল্পকর্মকে ফুটিয়ে তোলা।
পাটের দড়িতে তৈরি প্রতিমা, মণ্ডপ জুড়ে সবুজের ছোঁয়া
এই থিমকে সার্থক করতে উদ্যোক্তারা মণ্ডপ সজ্জায় পরিবেশবান্ধব উপকরণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রতিমা শিল্পকর্ম: শিল্পীরা টানা ছ’মাস ধরে শুধুমাত্র পাটের দড়ি ব্যবহার করে দুর্গা ও অন্যান্য প্রতিমা তৈরি করেছেন। এটি এক অভিনব শিল্পকর্মের সাক্ষী রেখেছে হাজারো মানুষকে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: মণ্ডপ জুড়ে বসানো হয়েছে নানান প্রজাতির সবুজ গাছ। মণ্ডপে প্রবেশ করলেই শোনা যাচ্ছে পাখির কলকাকলি, যা দর্শকদের এক স্নিগ্ধ প্রাকৃতিক অনুভূতি দিচ্ছে।
ক্লাবের অন্যতম উদ্যোক্তা পুলক মণ্ডল বলেন, “কলকাতার একেবারে কাছেই মহেশতলায় আমরা প্রকৃতির ছোঁয়া দিতে চাই। বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই চিন্তাভাবনা সকলের নজর কেড়েছে।”
মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই মুগ্ধ
এই অভিনব উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, এই পুজোতে ঘুরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল-সহ একাধিক বিশিষ্ট অতিথিরা। তাঁদের উজ্জ্বল উপস্থিতি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ আরও বাড়িয়েছে।
“বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এক অভিনব শিল্পকর্মের সাক্ষী থেকেছেন হাজারো মানুষ,” জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা। স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্লাবের এই উদ্যোগে খুবই খুশি এবং তাঁরা চাইছেন পরের বছরও নতুন কোনোও সামাজিক থিম নিয়ে আসুক এই ক্লাব।