গুজরাটের স্যার ক্রিক সীমান্তে নতুন করে পাক সেনা সমাবেশ, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে ফের সংঘাতের ইঙ্গিত!

গুজরাটের বিতর্কিত স্যার ক্রিক সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সেনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বৃহস্পতিবার সরাসরি ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিলেন।

বিজয়া দশমী বা দশেরা উপলক্ষে গুজরাটের ভূজে ভারতীয় সেনার শস্ত্র পুজো কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজনাথ সিং এই কড়া বার্তা দেন।

ইতিহাসের স্মরণ ও সামরিক হুঁশিয়ারি
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্ট করে দেন, স্যার ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে এমন প্রত্যাঘাত করা হবে, যার অভিঘাতে ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে যাবে।

পাকিস্তানের সামরিক দুর্বলতা ও ভারতের সক্ষমতা তুলে ধরতে তিনি ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনার লাহোরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনা এবং সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি:

“পাকিস্তানকে মনে রাখতে হবে, করাচি যাওয়ার একটিই পথ, এই স্যার ক্রিক হয়েই সেটা যেতে হয়।”

বিতর্কিত স্যার ক্রিক এলাকা
স্যার ক্রিক হলো সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হওয়া প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খাড়ি বেষ্টিত অঞ্চল। এটি জম্মু-কাশ্মীরের মতোই একটি বিতর্কিত এলাকা, যেখানে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। কচ্ছের রণের পশ্চিমে অবস্থিত এই জলাভূমি বেষ্টিত এলাকাটি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে গুজরাটকে আলাদা করেছে।

নজরদারি: এই অঞ্চলে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডায়েল’ নজরদারি চালায়।

পূর্বের সংঘাত: ১৯৯৯ সালে স্যার ক্রিক এলাকাতে অনুপ্রবেশকারী একটি পাক নজরদার বিমান ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। সেই ঘটনায় ১৬ জন পাক সেনা নিহত হয়েছিল।

সম্প্রতি স্যার ক্রিক অঞ্চলে নতুন করে পাক সেনা সংখ্যা বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা জারি করা হলো।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy