জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানু এবার তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করলেন। সম্প্রতি রীতা ভট্টাচার্য এক সাক্ষাৎকারে গায়ক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন, তাকে ‘ভিত্তিহীন ও মানহানিকর’ দাবি করে আইনি পথে হাঁটলেন কুমার শানু।
প্রাক্তন স্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কুমার শানুর প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি করেন। তাঁর দাবি, ১৯৮০ সালে তাঁদের বিয়ের পর এবং ১৯৯৪ সালে বিচ্ছেদের আগে:
বঞ্চনার অভিযোগ: অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন কুমার শানু ও তাঁর পরিবার তাঁকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছিলেন।
সন্তানদের প্রতি উদাসীনতা: রীতা দাবি করেন, “তাঁরা (শানু ও তাঁর পরিবার) আমার সন্তানদের দুধও দিত না। চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল। এমনকি বন্যার সময় সন্তানদের খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি তিনি।”
বিবাহবিচ্ছেদ: তিনি দাবি করেন, বিবাহবিচ্ছেদের সময় তিনি মাত্র ১০০ টাকা পান। ফলে বেঁচে থাকার জন্য গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল।
বর্তমানে কুমার শানু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সলোনি ভট্টাচার্য এবং দুই কন্যার সঙ্গে থাকেন।
‘মানহানি’র অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ
প্রাক্তন স্ত্রীর এই সমস্ত অভিযোগকে গায়ক সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রীতা ভট্টাচার্যকে।
কুমার শানুর আইনজীবী সানা রইস খান এক বিবৃতিতে কড়া বার্তা দেন। তিনি বলেন:
“চার দশকের বেশি সময় ধরে কুমার শানু গানের মধ্যে দিয়ে মানুষকে বিনোদন দিয়েছেন। এমন একজন শিল্পীর সম্মানহানি করতে চাওয়া দুঃখজনক। এই ধরনের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরও বলেন, “কোনও ব্যক্তি বা মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অধিকার নেই সম্মান ও পরিবারের মর্যাদা হানির মতো চটকদার খবর তৈরি করার। আমরা তা কিছুতেই মেনে নেব না।”
এই আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে কুমার শানু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, তাঁর সম্মানহানি করে এমন কোনো মিথ্যাচার তিনি মেনে নেবেন না।