দুর্গাপূজা বাঙালির জীবনে বছরে একবার আসে। এই পাঁচটা দিন আমরা হৈ-হুল্লোড়, আড্ডা, দেদার খাওয়া-দাওয়া আর রাতভর ঠাকুর দেখায় মেতে উঠি। কিন্তু এই সব কিছুর আড়ালে কোথাও ভুলে যাচ্ছেন না তো আপনার বাড়ির প্রবীণ সদস্যরা একা হয়ে যাচ্ছেন?
উৎসবের এই সময়ে বাড়ির প্রবীণ সদস্যেরা যেন একাকিত্বে না ভোগেন, সেদিকে খেয়াল রাখা পরিবারের দায়িত্ব। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো, তাঁদের পছন্দের জিনিস করা এবং তাঁদের সামাজিকভাবে সংযুক্ত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমেই তাঁরাও পুজোর আনন্দ অনুভব করতে পারবেন এবং একাকিত্বের অনুভূতি কমবে।
পুজোর আনন্দে প্রবীণদের সামিল করার ৬ সহজ উপায়
১. তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান:
পুজোর ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের বয়স্কদের জন্য কিছুটা সময় বের করুন। তাঁদের সঙ্গে গল্প করুন, তাঁদের অতীতের কথা মন দিয়ে শুনুন বা তাঁদের পছন্দের কোনো কাজ একসঙ্গে করুন। হয়তো তাঁদের শৈশবের পুজোর গল্প শুনতে আপনারও ভালো লাগবে।
২. তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিন:
প্যান্ডেল হপিংয়ের রুট হোক বা বাড়িতে মেনু— কোনো কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁদের মতামত জানুন এবং গুরুত্ব দিন। এতে তাঁরা নিজেদের পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে করবেন।
৩. তাঁদের সামাজিকভাবে সংযুক্ত রাখুন:
সম্ভব হলে তাঁদের পছন্দের আত্মীয়স্বজন বা পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দিন। ভিড় ও হইচইয়ের মাঝে কিছুক্ষণ তাঁদের পছন্দের মানুষের সান্নিধ্য পেলে তাঁদের মন ভালো থাকবে।
৪. পছন্দের খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা করুন:
পুজোর সময় পছন্দের খাবার বা নতুন পোশাকের পাশাপাশি তাঁদের পছন্দের বই পড়া, গান শোনা বা পুরনো সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিন। পুরোনো দিনের গান বা সিনেমা তাঁদের নস্টালজিয়ায় ফিরিয়ে আনবে।
৫. সুস্থতা ও আরামের দিকে খেয়াল রাখুন:
পুজোর ভিড়ে তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। ভিড়ের মধ্যে তাঁদের বাইরে না নিয়ে গিয়েও বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশে বসার ব্যবস্থা করুন। তাঁদের জন্য উপযুক্ত পোশাক ও আরামদায়ক পরিবেশের ব্যবস্থা করুন, যাতে তাঁরা অসুস্থ না হয়ে পড়েন।
৬. তাঁদের প্রতি যত্নশীল হন:
তাঁদের প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ বজায় রাখুন। তাঁদের সামান্যতম যত্ন বা খেয়াল রাখলে তাঁরাও পুজোর এই মহৎ উৎসবে সমানভাবে সামিল হতে পারবেন এবং তাঁদের একাকিত্ব দূর হবে।