ফের ‘অভিজ্ঞতা’ প্রশ্ন! অ্যাডিশনাল সিইও পেলেও ডেপুটি পদে নবান্নের পাঠানো প্যানেল খারিজ করল নির্বাচন কমিশন

দীর্ঘদিন ধরে চলা শূন্যপদ পূরণের জটিলতার পর অবশেষে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) এর দফতরে আংশিক সমস্যার সমাধান হলো। রাজ্যের পাঠানো সর্বশেষ নামের তালিকা থেকে দু’জন গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিককে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন।

নতুন অতিরিক্ত ও যুগ্ম সিইও
অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (ACEO): নির্বাচন কমিশন এস অরুণ প্রসাদকে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত করেছে। ২০১১ সালের আইএএস ব্যাচের এই অফিসার বর্তমানে নদীয়ার জেলাশাসক পদে নিযুক্ত ছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনের পর সঞ্জয় বসু অবসর নিলে এই পদটি শূন্য হয়েছিল।

যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Joint CEO): অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগের পাশাপাশি, কমিশন ২০১৩ সালের আইএএস ব্যাচের হরিশঙ্কর পানিকরকে যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত করেছে। হরিশঙ্কর পানিকর রাজ্যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তবে, গত ৩১ আগস্ট আরও এক অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিজিত কুমার ধর অবসর নেওয়ায়, এখনও একটি অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদ শূন্য রয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর।

ডেপুটি সিইও পদে জট অব্যাহত: নবান্নের প্যানেল খারিজ
যদিও অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হলেও উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Deputy CEO) পদে শূন্যস্থান পূরণে এখনও জট অব্যাহত। এই পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে তিনজনের নামের প্যানেল নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছিল, কমিশন তাদের কাউকেই মনোনীত করেনি।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করা প্রয়োজন। নবান্নের পাঠানো নাম তালিকায় থাকা আধিকারিকদের নির্বাচনের কাজের অভিজ্ঞতা নেই, এই কারণ দেখিয়েই কমিশন প্যানেলটি খারিজ করে দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন দ্রুত রাজ্য সরকারকে নতুন করে নাম তালিকার প্যানেল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পদস্থ কর্তাদের মতে, রাজ্যে এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া চালু হলে ডেপুটি সিইওদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাই এই পদে দ্রুত নতুন নিয়োগ না হলে সিইও দফতরে সমস্যার সুরাহা হবে না।

প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার শূন্যস্থান পূরণের জন্য নবান্নকে আবেদন জানালেও, রাজ্যের পাঠানো প্রথম প্যানেলটিও ‘নির্বাচনী কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার’ কারণে কমিশন খারিজ করে দিয়েছিল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy