দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর, অবশেষে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) তাদের চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। শনিবার রাতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই তালিকা প্রকাশের পরেই অনেক নতুন প্রশ্ন উঠেছে।
তালিকায় কাদের নাম?
প্রকাশিত তালিকায় শাসক দলের অনেক নেতা-নেত্রী এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। তবে অনেকের প্রশ্ন, যে সব মানুষ টাকা দিয়ে এই চাকরি পেয়েছেন, সেইসব মধ্যস্থতাকারীদের নাম কবে প্রকাশ করা হবে? এই তালিকা প্রকাশের পর বেশ কিছু অযোগ্য প্রার্থী আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবীর নতুন হুঁশিয়ারি
এই তালিকায় একাধিক ভুল আছে, এই অভিযোগ তুলে নতুন করে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তিনি। তার মতে, এসএসসির প্রকাশিত এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। ২০১৬ সালের নিয়োগে অনেক প্রার্থী প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও বা সুপারিশ ছাড়া চাকরি পেয়েছেন, তাদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ফিরদৌস শামিমের অভিযোগ
একটি সংবাদ মাধ্যমে ফিরদৌস শামিম বলেছেন, ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ’ প্যানেল থেকে যারা চাকরি পেয়েছেন, তারাও অবৈধ নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, এসএসসির প্যানেলের মেয়াদ থাকে এক বছর। তাই তৃতীয় কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়োগই বেআইনি। তার দাবি, এসএসসির সুপারিশের চেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত নিয়োগের তালিকাও প্রকাশ করা হোক।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
আদালতের নির্দেশে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নবম-দশম শ্রেণিতে ৯৯৩ জন এবং একাদশ-দ্বাদশে ৮১০ জনকে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকাটি মূলত ওএমআর শিট এবং র্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি। তবে অভিযোগ রয়েছে, এর বাইরেও আরও অনেক অবৈধ নিয়োগ হয়েছে।