গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ আমাদের মন মাতিয়ে তোলে। প্রিয়জনকে ফুল দেওয়ার সময় প্রথমেই গোলাপের কথা মনে পড়ে। তবে শুধুই সৌন্দর্য নয়, শুকনো গোলাপের পাপড়ির রয়েছে অসাধারণ ওষুধি গুণ। আসুন জেনে নিই শুকনো গোলাপের উপকারিতা ও ব্যবহার—
শুকনো গোলাপের ১০টি ওষুধি গুণ
ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যে কার্যকর
শুকনো গোলাপের পাপড়ি ডায়রিয়া কমাতে সহায়ক।
এর গুঁড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়।
ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত
মুলতানি মাটির সঙ্গে শুকনো গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।
গোলাপজল ত্বক পরিষ্কার করতে অত্যন্ত কার্যকর।
ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে
শুকনো গোলাপের গুঁড়া জলে মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত সেরে যায়।
অ্যাসিডিটি ও স্টমাক আলসার দূর করে
দুধের সঙ্গে শুকনো গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি ও পেটে গ্যাসের সমস্যা কমে।
হারবাল চা হিসেবে উপকারী
বিভিন্ন মশলার সঙ্গে শুকনো গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হারবাল চা অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
এটি দাঁতের ক্যাভিটি রোধেও কার্যকর।
গলা ব্যথা ও কাশির সমাধান
শুকনো গোলাপের পাপড়ি ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা ও কাশির কারণে হওয়া জ্বালা কমে।
ঠান্ডা ও কাশির বিরুদ্ধে কার্যকর
গোলাপের কুঁড়ির শুকনো পাপড়ির চা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ, যা ঠান্ডা ও কাশির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
রোজ অয়েল তৈরি করা যায়
শুকনো গোলাপের পাপড়ি নারকেল তেলের সঙ্গে জ্বাল দিলে রোজ অয়েল তৈরি করা যায়, যা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়।
শুকনো গোলাপের পাপড়ি সংরক্ষণ পদ্ধতি
ফুল থেকে পাপড়ি তুলে টিস্যু দিয়ে চেপে শুকিয়ে নিন।
এরপর রোদে ২-৩ ঘণ্টা রেখে আবার টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন, ৪-৫ দিনের মধ্যে এটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে।
প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকতে শুকনো গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করুন!