হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করার পর প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এখন রাজস্থান বিধানসভা থেকে পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে রাজস্থানের কিষাণগড় আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তিনি এখন বিধায়ক হিসেবে পেনশন পাওয়ার যোগ্য।
বিধানসভার স্পিকার বাসুদেব দেবনানি নিশ্চিত করেছেন যে, ধনখড়ের পেনশনের আবেদন তারা পেয়েছেন এবং সেই আবেদনটি যাচাই করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি প্রতি মাসে প্রায় ৪২ হাজার টাকা পেনশন পেতে পারেন। রাজস্থানে এই নিয়ম আছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি বিধায়ক এবং সাংসদ দুটোই হন, তাহলে তিনি দুই পদের জন্যই আলাদা আলাদা পেনশন পেতে পারেন। এই কারণে অনেক প্রাক্তন নেতা একাধিক পদের পেনশন একসাথে পান।
স্বাস্থ্যজনিত কারণে পদত্যাগ
৭৪ বছর বয়সী জগদীপ ধনখড় সম্প্রতি ২১ জুলাই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি এই পদ ছাড়ছেন। যদিও তাঁর মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। এই পদত্যাগের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে।
বিরোধী দলের প্রশ্ন
জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লোকসভায় প্রশ্ন তুলে বলেন, “যাদের কণ্ঠস্বর রাজ্যসভায় শোনা যেত, তাঁরা হঠাৎ চুপ হয়ে গেলেন কেন? ভারতের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি কেন লুকিয়ে আছেন? পরিস্থিতি এমন কেন হলো যে তিনি বাইরে এসে একটিও কথা বলতে পারছেন না?”
কংগ্রেসের আরেক নেতা কপিল সিবাল ব্যঙ্গ করে বলেন যে, তিনি এর আগে শুধু ‘নিখোঁজ মহিলার’ কথা শুনেছেন, কিন্তু এবার তিনি ‘নিখোঁজ উপরাষ্ট্রপতির’ গল্প শুনলেন। তিনি জানান যে, ধনখড়ের ব্যক্তিগত সচিবের সাথে যোগাযোগ করলে শুধু বলা হয়েছিল যে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। এরপর থেকে তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক মহলে এখন একটাই প্রশ্ন, হঠাৎ করে পদত্যাগ করার পর ধনখড়ের এই পেনশন আবেদন নতুন করে কী ইঙ্গিত দিচ্ছে।