ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন? এই ৫টি খাবার অবিলম্বে এড়িয়ে চলুন

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বর্তমানে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে তা অস্থিসন্ধিতে জমে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা গাউট আর্থ্রাইটিস নামে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা মূলত খাদ্যাভ্যাসের কারণেই হয়ে থাকে। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি।

যে ৫টি খাবার এড়িয়ে চলবেন:

১. রেড মিট: রেড মিট বা লাল মাংস ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন থাকে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। তাই যারা এই সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অবশ্যই লাল মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. চিংড়ি: চিংড়ি কমবেশি সবারই পছন্দের খাবার হলেও, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে চিংড়ি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৩. সামুদ্রিক মাছ: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক মাছ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে। ইলিশ এবং পমপ্লেটের মতো মাছ, এমনকি ক্যানবন্দি টুনা বা স্যামন মাছও এই সমস্যাকে গুরুতর করে তুলতে পারে। তাই এই ধরনের মাছ থেকে দূরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

৪. দানাযুক্ত সবজি: বিশেষজ্ঞদের মতে, দানা জাতীয় সবজি যেমন— ঢ্যাঁড়শ, টমেটো এবং বিনস ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই এই ধরনের সবজি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।

৫. সয়াবিন: সয়াবিন একটি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু যাদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাদের সয়াবিন খাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। সয়াবিন থেকে পাওয়া প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা প্রতিটি মানুষেরই উচিত নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy